কাজী আবু যাঈদ
আসন্ন বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে একাধীক প্রার্থীর ভীড়ে এক সময়ের তুখোর ছাত্রলীগ নেতা ঔতিহ্যবাহী বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেনকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করার তৃণমূল আওয়ামী লীগের দাবী প্রবল। আনোয়ার হোসেন তার রাজনৈতিক জীবনে লোভ লালসা ত্যাগ করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দলের নিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছেন। জানা গেছে, তিনি বরিশাল আওয়ামী লীগের আভিভাবক বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর অত্যান্ত ¯েœহভাজন এবং বরিশাল সিটি করপেরেশনের সুযোগ্য মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন।
বরিশাল সদর উপজেলার হিজলতলা গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মুন্সী আমজাদ আলীর পুত্র আণোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি আনোয়ার শিক্ষা জীবনে তিনি বি.এ অনার্স ও এম.এ (ইতিহাস ও রাস্ট্রজ্ঞিান) এবং এলএলবি পাশ। রাজনৈতিক জীবনে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বরিশাল বিভাগের সভাপিত, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের কার্য়করি পরিষদের সভাপতি, পানি উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, সাউথ এ্যাপেলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিদ্যুৎসাহী সদস্য, বরিশাল ইসলামিয়া কলেজ ও অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য এছাড়া তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড ও সমাজ উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত।
বরিশাল বিএম কলেজের ১৩৩ বছরের ইতিহাসে বরিশাল সদর উপজেলার কৃতি সন্তান হিসেবে একমাত্র ভিপি পদে নির্বাচিত হন আনোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি আনোয়ার। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বিচ্ছু বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পরিবারকে হত্যার খবর শুনে মাত্র নবম শ্রেনীর ছাত্র থাকা অবস্থায় সেই অজপরাগায়ে লোকজন নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে মৌলভীর হাট জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ১৯৭৭ সালে ওবায়েদুল কাদের সভাপতি ও এসএম বাহালুল মজনুন চুন্নুর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন ভিপি আনোয়ার। ১৯৭৮ সালে বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় একাদ্বশ শ্রেণীর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে বরিশাল বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করে বরিশাল বিএম কলেজে রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়ে ১৯৯০ সালে ভিপি নির্বাচিত হন।
তাঁর পিতা মরহুম মুন্সি আমজাদ আলী আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে মুক্তিযুদ্ধসহ আওয়ামী লীগের সদস্য। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল পৌরসভার একটি বাড়ী পাক হানাদার বাহিনী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো সেই বাড়ীটি ছিলো আনোয়ারের পিতা মরহুম মুন্সি আমজাদ আলীর। তাঁর মাতা মরহুম সখিনা খাতুনও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাবুগঞ্জ, গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া থানার বেইস কমান্ডার ছিলেন শশুর বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৭ বছর সভাপতি পদে থাকা এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম। স্ত্রী সালমা আক্তার শিলা শিক্ষা জীবনে বিএ ও এলএলবি পাশ। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের চার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিলর এবং হিসাবরক্ষণ ও নীরিক্ষা সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। ১৭ ভাই-বোনের মধ্যে সকলেই ¯œাতক থেকে এমএ, এলএলবি এবং ৮ জনই আইন পেশায় জড়িত। ভাই এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বরিশাল জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ছিলেন। আরেক ভাই এ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন বরিশাল জেলা আইনজীবি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও এপিপি। ভাই নিজামুল হক নিজাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী এটর্নি জেনারেল ছিলেন। উল্লেখিত সকলেই সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই খাদবিহীন দলের নিবেদিত প্রাণ আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সকলের প্রত্যাশা জীবনের পরন্তবেলায় বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দর সাথে আলাপকালে বলেন, শিক্ষা দীক্ষায়, শতভাগ আওয়ামী ঘরানার পরীক্ষিত, ত্যাগী নির্যাতিত ভিপি সব বিষয় বিবেচনা করলে আনোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি আনোয়ারই হচ্ছেন যোগ্যতাসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি¦। বরিশাল আওয়ামী লীগের অভিভাবক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও বিসিসি মেয়র সেরসিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘরানার একমাত্র পরীক্ষিত নেতা আনোয়ারকে দলীয় মনোয়ন দেয়া হলে গোটা বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী ও বেগবান হবে।
আনোয়ার হোসেন ওরফে ভিপি আনোয়ার বলেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে বরিশাল আওয়ামী লীগের আভিভাবক আমাদের শ্রদ্ধাভাজন মুরব্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও বিসিসি মেয়র সেরসিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশনা ও তাঁদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জেলা পরিষদের আওতাধীন সকল উপজেলা ও উপজেলার সকল ইউনিয়নের আওয়ামী নেতৃবৃন্দকে সাথে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply