মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
জোয়ারের পানিতে দূষিত হচ্ছে বরিশাল নগরী

জোয়ারের পানিতে দূষিত হচ্ছে বরিশাল নগরী

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ‘‘শহর রাখবো পরিষ্কার, গড়বো আগামীর বরিশাল’’ স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নগরীতে শুরু হয় মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান। মূলত বিসিসি’র নেয়া এই উদ্যোগকে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রূপ দেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হন জনপ্রতিনিধিরাও। এরই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক ৩০টি গ্রুপ গঠন করা হয়। সে সময় মূল ড্রেনসহ প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের ড্রেন পরিষ্কার করে সচল করা হয়েছিল। এছাড়া বর্ষা মৌসুমেও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও সংস্কারের কাজও হাতে নেয়া হয়। মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির সুফল ইতিমধ্যেই পেয়েছেন নগরবাসী। তবে চলতি বছরের টানা বৃষ্টিপাতে নগরীর অধিকাংশ এলাকা বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। উপচে পড়ছে ড্রেনের আবর্জনা মিশ্রিত পানি। নগরীর নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত কীর্তনখোলার তীরের জনপদ সাগরদী ধান গবেষণা সড়ক, পূর্ব রূপাতলী, জাগুয়া, আমানতগঞ্জ, পলাশপুরসহ বহু এলাকা হাঁটু পানিতে নিমগ্ন। সর্বাধিক সংকটে পড়েছেন কীর্তনখোলা তীর সংলগ্ন রসুলপুর, পলাশপুর, বরফকল ও স্টেডিয়াম বস্তির বাসিন্দারা।
এসব অঞ্চলের আশেপাশের খাল এবং ড্রেনগুলোতে বর্জ্য আটকে থাকায় ভাটির টানে পানি বেরিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি হয়। যে কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশালের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদীমা অতিক্রম করেছে। বুধবারও কীর্তনখোলার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ছিল। যেহেতু বরিশাল নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা খালের মাধ্যমে নদীর সাথে যুক্ত, তাই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে গেলে নগরীর নি¤œাঞ্চলগুলো জনমগ্ন হয়ে পড়ে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল থাকলে এই অবস্থার অনেকটাই নিরসন হত বলে জানান তিনি।
বিসিসি সূত্র জানায়, মেয়র কর্তৃক ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর মাসব্যাপী পরিচ্ছন্ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডেও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তবে মূলত ৯ জানুয়ারি থেকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের অগ্রাধিকার হিসেবে তারা ড্রেন পরিষ্কার শুরু করেন। একই সাথে জনসচেতনতা তৈরিতে তারা স্থানীয় বাসিন্দা, বাড়ির মালিক এবং পথচারীদের সাথে কাউন্সিলিং করেছেন। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিষ্কারের পাশাপাশি ড্রেনগুলোর সংস্কারের কাজও করা হয়। পূর্বে ড্রেনের স্ল্যাচগুলোর মধ্যে দূরত্ব বেশি থাকায় আবর্জনা পরিষ্কারে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হত। তাই সেবার ৫ ফুট অন্তর নতুন করে স্ল্যাচ তৈরি হয়েছিল। তবে যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে ড্রেনগুলো দ্রুতই ভরে যাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে মূলত নগরবাসীর অসচেতনতাকেই দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে ব্যবসায়ীদের যথেচ্ছ ব্যবহারে মূল ড্রেনগুলো করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া অলিগলির ড্রেন স্থানীয়রা প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনসহ নানা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে ফেলছেন। এসব কারণে জোয়ারের পানি শহরে ঢুকলেও আবার নেমে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। নগরবাসী তাই বছরে অন্তত ২ বার মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে জানতে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ছূটিতে আছেন বলে এড়িয়ে যান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com