শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
৩ মাসে ব্যবসা হারিয়েছেন অর্ধকোটির বেশি ব্যবসায়ী

৩ মাসে ব্যবসা হারিয়েছেন অর্ধকোটির বেশি ব্যবসায়ী

দেশের অর্থনীতির প্রতিটি খাতে ভয়ঙ্কর ছোবল হেনেছে করোনা ভাইরাস। এক কথায়- বৈশ্বিক এ মহামারী অর্থনীতির ভিত পর্যন্ত নাড়িয়ে দিয়েছে; থমকে গেছে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। এতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র বা অনু ব্যবসায়ীরা। লোকসানের খাদে পুঁজি হারিয়ে এরই মধ্যে বেকার, পথে বসে গেছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বছর দুই ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো সর্বজনীন উৎসবের মৌসুমে সাধারণ সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশও ব্যবসা হয়নি। অন্যদিকে ঋণের বোঝায় দিশাহারা অনেক ব্যবসায়ী। এ অবস্থায় কোনো রকমে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা; অনেকে টানা লোকশন টানতে টানতে পুঁজি খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এদিকে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হওয়া স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীর সংখ্যাও।

মূলত ১৫ জনের কম কর্মীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসার আওতায় পড়ে। অন্যদিকে হকার, বাদামওয়ালা, ফেরিওয়ালা, পান-সিগারেট বিক্রেতাসহ স্বল্প পুঁজির ব্যবসাগুলো অনু অর্থাৎ অতিক্ষুদ্র ব্যবসার আওতায় পড়ে। দেশের মোট ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশই হচ্ছে এসব ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ী। পুঁজি কম এবং সঞ্চয় সীমিত হওয়ায় এ ধরনের ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি মোকাবিলার ক্ষমতাও অনেক কম। তাই করোনা বিপর্যয়ে মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে এসব ব্যবসায়ী।

দোকান মালিক সমিতির তথ্যানুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৭ লাখ এবং অনু ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। দেশের মোট ব্যবসায়ীদের প্রায় ৯০ শতাংশই হচ্ছে অনু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা মন্দায় এসব ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কষ্ট করে এখনো ব্যবসা ধরে রাখছেন। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ীরা। ২০-৪০ হাজার টাকার সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করা এসব অনু ব্যবসায়ী করোনার মন্দা বাজারে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। করোনার মন্দা বাজারে গত তিন মাসে সারাদেশে ৫০-৬০ লাখ ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ী তাদের পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কেবল রাজধানীতেই ব্যবসা হারিয়েছেন প্রায় পাঁচ লাখ অনু ব্যবসায়ী। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে না পেরে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন তারা।

তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা এক কোটির বেশি কর্মচারী ও তাদের পরিবার এখন মহাবিপদে রয়েছেস। আমরা সরকারের কাছে বহুবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও এসব অসহায় মানুষের জন্য কিছুই করা হয়নি। প্রণোদনার অর্থ ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবায়িত হয়নি।

যাত্রাবাড়ী মোড়ে ঢেলায় করে বাদাম, ছোলা-বুট বিক্রি করেন মো. জুলহাস। করোনায় টানা লোকশানের মুখে পুঁজি ভেঙে এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তার। কথা হলে হতাশ কণ্ঠে জুলহাস বলেন, ‘আগে যেইখানে দিনে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতাম, সেইখানে এখন ৫০০ টাকাও বেচাবিক্রি নাই। গতকাল বিক্রি হইছে মাত্র ৩০০ টাকা। কয়ডা টাকা পুঁজি ছিল, সেইটা ভাইংগা চলতাছি। এইভাবে আর বেশি দিন চালাইতে পারুম না। সব রাইখা গ্রামেই চইলা যাইতে হইবো মনে হয়।’

মাতুয়াইল সাদ্দাম মার্কেট এলাকার নিউ হেয়ার স্টাইল সেলুনের ব্যবসায়ী মো. লিটন হোসেনও বলেন, ‘করোনায় ব্যবসা তলানিতে ঠেকছে। আগের তিন ভাগের এক ভাগও কাস্টমার নাই এখন। ভাইরাসের ডরে মানুষ এহন সেলুনে আসে না। সরকার প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিল, কিন্তু একটা টাকাও পাই নাই। এইভাবে কয়দিন আর ব্যবসা টিকাইয়া রাখা যায় ভাই।’

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রসঙ্গে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তা ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছায়নি। এসব ছোট ছোট ব্যবসায়ীকে নিয়ে ভাববার মতো সময় কি আর ব্যাংকের হাতে আছে। ব্যাংকগুলো তো ব্যস্ত বড় বড় ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের নিয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘হকার, ফেরিওয়ালাদের মতো অনেক অনু ব্যবসায়ীর কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-ই নেই। তারা কীভাবে প্রণোদনার অর্থ পাবে। ব্যাংক থেকে প্রণোদনার অর্থ প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটিও অনেক জটিল। তা ছাড়া এসব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট কোনো তালিকাও করা হয়নি। আমরা সরকারকে এসব বিষয়ে বারবার জানিয়ে আসছি। বিভিন্ন সুপারিশও দিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এসব শ্রেণির ব্যবসায়ীর হাতে কোনো প্রকার প্রণোদনার অর্থ পৌঁছায়নি।

অথচ এসব ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ীদেরই সবার আগে অর্থ সহায়তা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন হেলাল উদ্দিন। বলেন, দেশের মোট ব্যবসায়ীদের সিংহভাগই হচ্ছে ক্ষুদ্র ও অনু ব্যবসায়ী। এরাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাই অর্থনীতিকে পুনরায় চাঙ্গা করতে হলে ছোট ব্যবসায়ীদের বাদ দেওয়া যাবে না। তাই সবার আগে এদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। প্রণোদনার অর্থ এদের হাতে পৌঁছাতে হবে আগে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com