মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলার

৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলার

অক্টোবর মাসের চেয়ে নভেম্বরে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কিছুটা কমলেও গত বছরের নভেম্বর মাসের তুলনায় সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বেড়েছে ৫২ কোটি ডলার। নভেম্বরে প্রবাসীরা ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে তারা পাঠিয়েছিলেন ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার। গত পাঁচ মাসে ( জুলাই- নভেম্বর) প্রবাসীরা প্রায় ১১ বিলিয়ন (১০.৯০৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের মাস অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে ৪ কোটি ডলার কম এসেছে। গত অক্টোবরে তারা ২১১ কোটি (২ দশমিক ১১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এই অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে প্রবাসীরা ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ এই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় প্রবাসীরা ৩১৯ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ইউরোপ এবং আমেরিকা থেকে আগের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ওই দেশগুলোর প্রবাসীরা লাভের আশায় বাংলাদেশে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ফ্ল্যাট কিনছেন। তবে রেমিট্যান্স বাড়ার নেপথ্যের কারণ হিসেবে সরকারের দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনাকে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এর ধাক্কায় সারাবিশ্বের স্বাভাবিক অর্থনীতি যখন টালমাটাল অবস্থায় তখনও বাংলাদেশে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনাকালে প্রবাসীরা কয়েকগুণ বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে ব্যাংকের হাতে প্রচুর তারল্য এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এই বছরের অক্টোবরে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি (২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন। যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। গত আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। শুধু তাই নয়, ইতিহাস বলছে এখন থেকে বিশ বছর আগে অর্থাৎ ২০০১-০২ অর্থবছরের পুরো সময়ে (১২ মাসে) রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫০ কোটি ১১ লাখ ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্সে ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে গেছে। অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটির মতো বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান প্রায় ১২ শতাংশের মতো।

প্রসঙ্গত, বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে গত বছরের মতো এবারও ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। সে অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করে কোনও কোনও ব্যাংক আরও ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com