শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় মন্দির ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-জহির উদ্দিন স্বপন দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিবর্তন হতে পারবে না–খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন সরাসরি ভোটে গৌরনদীর টরকী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন মহিলা দলের ৪৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ছয় বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাজারো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সান্টু  বাকেরগঞ্জের সাংবাদিক হাবিবের উপরেহামলাকারী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি , শফিকুল ইসলাম রিপন শ্রী ঘরে , গৌরনদীতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির সমাবেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে গৌরনদীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মেয়ের অসুস্থতার খবরে একদিন আগেই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
করোনার টিকা আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ কীভাবে পাবে?

করোনার টিকা আবিষ্কার হলে বাংলাদেশ কীভাবে পাবে?

জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। কার্যকর টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় আসছে, কীভাবে এই টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

করোনাভাইরাসের টিকা কতটা জরুরি?

করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হলে সেটা মানুষের শরীরের ভেতরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করে তুলবে, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। এর ফলে লকডাউন, কড়াকড়ি সহজে তুলে নেওয়া যাবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব হবে।

যারা টিকা আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে

জাতিসংঘের ২০ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো হলো চীনা কোম্পানি সিনোভেক, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন/মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইন্সটিটিউট।

এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর নিষ্ক্রিয় অংশের ওপর ভিত্তি করে একটি টিকা আবিষ্কারের কাজ করছে সিনোভেক। প্রথম দফার পরীক্ষাগুলোয় এই টিকাটি বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। এখন ব্রাজিল ও বাংলাদেশে কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে।

সাধারণত একটি টিকা আবিষ্কারে কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ করোনাভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে পারে।

বাংলাদেশ কীভাবে টিকা পাবে?

টিকা আবিষ্কার হলে উন্নত দেশগুলোকে সেটা আবিষ্কারকদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে। যেমন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির টিকার জন্য এর মধ্যেই এক কোটির চাহিদা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। চাহিদা জানিয়েছে ব্রাজিলও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যেসব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলারের বেশি, তাদের টিকা কিনতে হবে। কিন্তু বাংলোদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় যেহেতু তার চেয়ে কম, ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বিনামূল্যে টিকা পাবে।’

তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ এবং গাভি’র (টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকার পাওয়া ৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

এসব সংস্থা নিজেদের অর্থে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্রাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌসী কাদরী এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯ এর টিকার জন্য বাংলাদেশ অনেক আগ্রহ নিয়ে অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে। এক বা একাধিক টিকা যেন আমরা পরীক্ষা করতে পারি এবং আমরা যেন টিকা পেতে পারি, সেই চেষ্টা হচ্ছে। আমি আশাবাদী, যেসব দেশ কোভিড-১৯ এর টিকা প্রথম দিকে পাবে, তার মধ্যে বাংলাদেশ থাকবে।’

অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি কৌশল নির্ধারণ করা জরুরি।

‘অনেক দেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারত, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ডের মতো অনেক দেশ যুক্ত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে যুক্ত হতে পারেনি। তবে ডব্লিউএইচও সেটা আমাদের দেবে, এটা নিশ্চিত।’

অধ্যাপক মুজাহেরুল হক বলছেন, ‘টিকা পাওয়ার আগেই বাংলাদেশকে নিজস্ব একটি কৌশল নির্ধারণ করতে হবে যে, কারা আগে টিকা পাবেন। সেই জনসংখ্যা কতো, দ্বিতীয় দফায় কারা পাবেন।’

‘এরপরে সংগ্রহের কৌশল ঠিক করতে হবে যে, আমাদের চাহিদা কত, কীভাবে কতটুকু পেতে পারি। সেটার ভিত্তিতে বাংলাদেশের কতো টিকা দরকার, সেটা ঠিক করতে হবে। কোন সোর্স থেকে কতটা পাবো ইত্যাদি ঠিক করতে হবে।’

বাংলাদেশে দুইটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এখনো কোনো টিকা আবিষ্কৃত না হওয়ায় তারা কোনোরকম উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি নেয়নি।

কত মানুষকে টিকা দিতে হবে?

এটা বলা কঠিন যে, এই টিকা কতটা কার্যকর হবে। তবে ধারণা করা হয় যে, ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করার জন্য ‘হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে’ অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে। কিন্তু টিকাটি সফল হলেও এই সংখ্যা হবে পৃথিবীর কয়েকশো কোটি মানুষ।

কারা আগে টিকা পাবেন?

টিকা যদি আবিষ্কার হয় আর প্রথম দিকে যদি সরবরাহ কম থাকে, তখন অবশ্যই গুরুত্বের বিচারে টিকা প্রদান করতে হবে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা, বিশেষ করে যারা কোভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসে বয়স্ক মানুষজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে টিকাটি সেই বয়সের ওপর কার্যকর হলে বয়সী ব্যক্তিরাও টিকা পাওয়ার তালিকায় এগিয়ে থাকবেন।

যুক্তরাজ্য বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা, বিশেষ কোন কোন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের আগে টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com