নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনার কারণে শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ওঠা অভিযোগের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে দেশের অন্যতম এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরের চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
কেননা করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের পয়:নিষ্কাশন কার্যক্রম। কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকার পাশাপাশি কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বৃহত্তর শেবাচিম হাসপাতাল নিজেই এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে হাসপাতালের অভ্যন্তরে চলাচল করাটাও এখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনার স্তূপ। মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা এনায়েত খান বলেন, এই রকম ময়লা আবর্জনা থাকায় হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে মেডিকেলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অনেক রোগী মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে মেঝেতে পড়ে থাকা আবর্জনা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অপর স্বজন তাসলিমা বলেন, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অনেক বলেও পরিষ্কার করানো যায় না। উল্টো রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাঁরা। করোনাকালে সবাই যখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করেন সেখানে শেবাচিম হাসপাতালের এমন চিত্র হতাশাজনক বলে মনে করেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘করোনার কারণে গত প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে না সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। ফলে ময়না-আবর্জনার স্তূপ সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতালের বাইরে। তবে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আবর্জনা অপসারণ বন্ধ রয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কাছেই বিসিসি কর্তৃপক্ষ মাটি খুঁড়ে অস্থায়ী ডাম্পিং স্পট তৈরি করে দিয়েছে। সেখানে নিয়মিত বিলিচিং ছেটানোর জন্যও কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এখন সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ফেলে স্তূপ করাটা কর্মচারীদের অবহেলার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু তদারকির অভাব বলে মনে করছে নগর কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন আবর্জনা নিচ্ছে না, তাই আবর্জনা ফেলা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে হাসপাতালের পাশেই আবর্জনা ফেলার জায়গা তৈরি হচ্ছে। এটার কাজ সম্পন্ন হলে আশা করা হচ্ছে এ সমস্যার সমাধান হবে।
Leave a Reply