প্রেম করে নিজের পছন্দে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন মেয়ে। কিন্তু মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ হয়নি বাবার। মেয়ে সাবালিকা হওয়ায় বিয়ে আটকানোর সাধ্য নেই তার। তাই দারুণ এক ফন্দি আঁটলেন তিনি। মেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে আটকিয়ে দিলেন বিয়ে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাওর খবরে বলা হয়, গত সোমবার মধ্যপ্রদেশের ধান্ডওয়া প্রদেশের এক ১৯ বছরের তরুণী তার প্রেমিক ও বান্ধবীদের নিয়ে জেলা আদালতে হাজির হন। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বীরেন্দ্র ভার্মার কাছে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেন ওই তরুণী। এ সময় আদালত চত্বরে ওই তরুণীর বাবা হাজির হন। তিনি ম্যারেজ রেজিস্ট্রারকে বলেন, ‘আমার মেয়ে করোনা পজিটিভ।’
মেয়েকে করোনা আক্রান্ত বলায় থেমে যায় বিয়ে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার বীরেন্দ্র ভার্মা সঙ্গে সঙ্গে ওই মেয়েকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে ওই তরুণীর করোনা পরীক্ষা করা হলেও এখনো রিপোর্ট আসেনি। ১৪ দিনের জন্য তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তর।
বীরেন্দ্র ভার্মা বলেন, ‘দুজনেই সাবালক-সাবালিকা। তারা বিয়ে করবে বলে আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবারকে দেখে মনে হলো, তারা বিয়েটিকে সমর্থন করে না। তাই হয়তো মেয়েটিকে করোনা আক্রান্ত প্রমাণিত করে বিয়েটা কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।’
তিনি বলেন, ‘মেয়েটি করোনা আক্রান্ত শোনার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না। তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলি। আদালতের কর্মীরাও বাড়ি ফিরে যান।
Leave a Reply