শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
শাজাহান খানের মেয়ের করোনার ‘ভুল’ রিপোর্টের দায় নিলো ল্যাব

শাজাহান খানের মেয়ের করোনার ‘ভুল’ রিপোর্টের দায় নিলো ল্যাব

সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহাজান খানের মেয়ে ঐশী খানকে ভুলে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল বলে দায় স্বীকার করল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার। ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুলের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

আজ সোমবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে ভুলের দায় স্বীকার করেন।

ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৫ শে জুলাই আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কেননা আমাদের এখানে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন, তারা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহের প্রথম দিকে শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হতো। সেই ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা আমাদের কাছে পাঠানো হয়। এটি সন্ধ্যায় আমরা গ্রহণ করি।’

তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা, সেই বাধ্যবাধকতার মধ্যে আমরা একটু ব্যত্যয়ের মধ্যে পড়ে যাই। পরবর্তী দিনে আমাদের এখানে সরকারিভাবে যারা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আছেন এবং অন্যান্য যারা আছেন তারা এই নমুনা পরীক্ষার কাজে হাত লাগান। সেদিন আমাদের ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করতে সময় একটু বেশি লেগে যায়।’

ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরও বলেন, ‘সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে যাত্রীর তথ্য একটি ফর্মের মাধ্যমে এমআইএস শাখার সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া হয়। সেখান থেকে তথ্য শিট আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য এন্ট্রি দেওয়ার জন্য আমাদের এখানেও ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা কাজ করেন।’

ল্যাবটির পরিচালক বলেন, ‘সময় বেশি লেগে যাওয়ার কারণে আমাদের সমন্বয়ক ইমিগ্রেশন বুথ এবং ডিএনসিসি বুথে কথা বলেন। ওইদিন যাদের বিমানযাত্রা ছিল তাদের যাত্রা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য আমাদের এখান থেকে রিপোর্ট তৈরি করে তাদের ইমেইলে পাঠানো হয়। সেই হিসেবে আমরা কাজ করি। ফলাফল আসার পর তথ্য শিটে কম্পিউটারে এন্ট্রি দেই। সেই এন্ট্রির সময় আমাদের অপারেটরদের যে কারও মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি প্রিন্ট আকারে আমাদের কাছে আসে। সেই তথ্য অনুযায়ী আমরা একটি রিপোর্ট কম্পিউটারে টাইপ করি। সেটা আমাদের একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং একজন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেন।’

ঐশী খানের করোনা রিপোর্টের প্রসঙ্গে ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা প্রথমে কিছু সংখ্যক যাত্রীর ফলাফলের রিপোর্ট এবং রাত সাড়ে ৯ টায় বাকি যাত্রীদের রিপোর্ট পাঠাই এমআইএস ইমিগ্রেশন এবং ডিএনসিসির এর ইমেইলে। যখন এই ডাটাগুলো আমাদের অপারেটররা এমআইএস এর সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়ার কাজ করে, প্রথম যাত্রার ইমেইলে প্রাক্তন মন্ত্রী শাজাহান খানের কন্যা ঐশী খানের রিপোর্ট ছিল। সেটি ভুলক্রমে ফলাফল লেখা ছিল নেগেটিভ। ওই নেগেটিভ রিপোর্ট আমাদের কম্পিউটার থেকে তৈরি করা হয়। আমাদের একজন অফিসার সেটি স্বাক্ষর করেন এবং ইমেইলে পাঠানো হয়।’

গত রোববার করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান সাবেক শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। তবে অনলাইনের রেজাল্টের সঙ্গে তার হাতে থাকা করোনার রিপোর্টে মিল না পাওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে ফেরত পাঠান।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঐশীর রেজাল্ট পজিটিভ এবং তাকে পজিটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে নিজের করোনা টেস্টের রিপোর্ট সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐশী খান। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাজাহান খান ও ঐশী খান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের কাছে তাদের অভিযোগের চিঠি জমা দেন।

চিঠিতে ঐশী খান লিখেছেন, ‘আমার করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে স্বাভাবিক চলাফেরা করেছি। আমার বাবা সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাতবারের নির্বাচিত এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানের সঙ্গে একই গাড়িতে বাসা থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত করেছি। যার ফলে আমার বাবাও করোনা ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন বলে আমিসহ পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি।’

তিনি লিখেন, ‘এ ছাড়া আমার এই রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যে আমার বাবা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হওয়াও তার সম্মানহানি হয়েছে, যা অমার্জনীয় অপরাধ। তাই এ ধরনের ভুল রিপোর্ট প্রদান সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনায় মানুষকে অযথা হয়রানি হতে না হয় তার জন্য অনুরোধ করছি।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com