দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরগুনার বেতাগীর বেতাগীতে বিষখালীর অব্যাহত ভাঙনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় একটানা প্রবল বর্ষণ ও প্রায়শই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পৌর শহরের পশ্চিম দিকে শৌলজালিয়া এলাকায় ছৈলার চর নামক একটি নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাড়ে বেতাগীর পৌর শহর এলাকায় ভাঙণের তীব্রতা বাড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিন দিন অব্যাহত ভাঙনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্ববর্তী এলাকায় বেতাগী বন্দর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠবাজার , ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল , সনাতন ধর্মালম্বীদের শত বছর পুরোনো কালি মন্দির ও শ্মাশ্বানঘাট , অতিথিদের থাকার ডাক বাংলো , ঝোপখালী গ্রাম , পুরোনো থানাপাড়া , কেওড়াবুনিয়াসহ বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকীর মুখে ২০ হাজার পরিবার । ৩ কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙগনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগী’র মানচিত্র ।
ভাংগন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , বিষখালী নদীর পশ্চিম দিকে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা , পূর্ব দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত । উত্তরে ঝালকাঠীর সুগন্ধ্যা নদী ও বরিশালের কির্ত্তনখোলা নদীর সাথে প্রবাহমান । দক্ষিনে বলেশ্বর নদী ও বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত । নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । পুরোনো থানা পাড়ার বিপরীত দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিক বেতাগী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এ কারণে ভেংগে যাচ্ছে বেতাগী’র এ জনপদ ।
বর্ষা মৌসুমে ভাংগনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঝোপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে । দক্ষিণ বাংলার একমাত্র কাঠবাজার অর্ধেকের বেশি দোকান বিষখালী নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে । কাঠবাজারে ৫ টি স্ব-মিল রয়েছে । এখান থেকে কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে । নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে দক্ষিণের জনপদের স্বরূপকাঠী , রাজাপুর , কাঠাঁলিয়া , বামনা , বদনীখালী , নিয়ামতি . চামটা , বরগুনা , ঝালকাঠী ও বরিশাল এর বিভিন্ন স্থানে কাঠ বিক্রি হচ্ছে ।
কাঠবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দোকান মালিক অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল আমিন বলেন,‘ সরকারের অতিশীঘ্রই বন্দর রক্ষা তথা কাঠবাজার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার , তা হলে নদীতে যেভাবে ভেংগে যাচ্ছে ২/১ বছরের মধ্যে কাঠবাজারের অস্থিত্ব কিছুই থাকবে না ।
শত বছরের পুরোনো বেতাগী’র সনাতন ধর্মালম্বীদের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী কালিমন্দির আর কিছু দিনের মধ্যে বিষখালী নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে । এ ব্যাপারে বন্দন ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বেতাগী বন্দর অতি পুরাতন , এ বন্দর, কালিমন্দির ও শ্মশ্বাণঘাটকে রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার । ’ ভাংগন কবলিত এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবাহান বলেন , ‘ আমরা অরক্ষিত অবস্থায় আছি , এ ব্যাপারে সরকার যদি বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা না নেয়া হলে তবে এর অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে ।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন,‘ নদী ভংগনরোধে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্দের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। প্রয়োজীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাংগনরোধ কাজ হবে।’ বর্তমান সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম গত ১৪/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বেতাগীর বিষখালী নদীতে ভংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে বলেন,‘ বেতাগী পৌর শহরসহ বিষখালীর অব্যাহত ভাংগন কবলিত এলাকা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।’ বরগুনার বেতাগীর বেতাগীতে বিষখালীর অব্যাহত ভাঙনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় একটানা প্রবল বর্ষণ ও প্রায়শই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পৌর শহরের পশ্চিম দিকে শৌলজালিয়া এলাকায় ছৈলার চর নামক একটি নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাড়ে বেতাগীর পৌর শহর এলাকায় ভাঙণের তীব্রতা বাড়ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিন দিন অব্যাহত ভাঙনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্ববর্তী এলাকায় বেতাগী বন্দর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠবাজার , ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল , সনাতন ধর্মালম্বীদের শত বছর পুরোনো কালি মন্দির ও শ্মাশ্বানঘাট , অতিথিদের থাকার ডাক বাংলো , ঝোপখালী গ্রাম , পুরোনো থানাপাড়া , কেওড়াবুনিয়াসহ বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকীর মুখে ২০ হাজার পরিবার । ৩ কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙগনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগী’র মানচিত্র ।
ভাংগন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , বিষখালী নদীর পশ্চিম দিকে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা , পূর্ব দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত । উত্তরে ঝালকাঠীর সুগন্ধ্যা নদী ও বরিশালের কির্ত্তনখোলা নদীর সাথে প্রবাহমান । দক্ষিনে বলেশ্বর নদী ও বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত । নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । পুরোনো থানা পাড়ার বিপরীত দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিক বেতাগী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এ কারণে ভেংগে যাচ্ছে বেতাগী’র এ জনপদ ।
বর্ষা মৌসুমে ভাংগনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঝোপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে । দক্ষিণ বাংলার একমাত্র কাঠবাজার অর্ধেকের বেশি দোকান বিষখালী নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে । কাঠবাজারে ৫ টি স্ব-মিল রয়েছে । এখান থেকে কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে । নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে দক্ষিণের জনপদের স্বরূপকাঠী , রাজাপুর , কাঠাঁলিয়া , বামনা , বদনীখালী , নিয়ামতি . চামটা , বরগুনা , ঝালকাঠী ও বরিশাল এর বিভিন্ন স্থানে কাঠ বিক্রি হচ্ছে ।
কাঠবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দোকান মালিক অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল আমিন বলেন,‘ সরকারের অতিশীঘ্রই বন্দর রক্ষা তথা কাঠবাজার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার , তা হলে নদীতে যেভাবে ভেংগে যাচ্ছে ২/১ বছরের মধ্যে কাঠবাজারের অস্থিত্ব কিছুই থাকবে না ।
শত বছরের পুরোনো বেতাগী’র সনাতন ধর্মালম্বীদের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী কালিমন্দির আর কিছু দিনের মধ্যে বিষখালী নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে । এ ব্যাপারে বন্দন ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বেতাগী বন্দর অতি পুরাতন , এ বন্দর, কালিমন্দির ও শ্মশ্বাণঘাটকে রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার । ’ ভাংগন কবলিত এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবাহান বলেন , ‘ আমরা অরক্ষিত অবস্থায় আছি , এ ব্যাপারে সরকার যদি বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা না নেয়া হলে তবে এর অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে ।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন,‘ নদী ভংগনরোধে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্দের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। প্রয়োজীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাংগনরোধ কাজ হবে।’ বর্তমান সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম গত ১৪/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বেতাগীর বিষখালী নদীতে ভংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে বলেন,‘ বেতাগী পৌর শহরসহ বিষখালীর অব্যাহত ভাংগন কবলিত এলাকা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।’
বরগুনার বেতাগীর বেতাগীতে বিষখালীর অব্যাহত ভাঙনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় একটানা প্রবল বর্ষণ ও প্রায়শই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পৌর শহরের পশ্চিম দিকে শৌলজালিয়া এলাকায় ছৈলার চর নামক একটি নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাড়ে বেতাগীর পৌর শহর এলাকায় ভাঙণের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিন দিন অব্যাহত ভাঙনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্ববর্তী এলাকায় বেতাগী বন্দর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠবাজার , ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল , সনাতন ধর্মালম্বীদের শত বছর পুরোনো কালি মন্দির ও শ্মাশ্বানঘাট , অতিথিদের থাকার ডাক বাংলো , ঝোপখালী গ্রাম , পুরোনো থানাপাড়া , কেওড়াবুনিয়াসহ বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকীর মুখে ২০ হাজার পরিবার । ৩ কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙগনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগী’র মানচিত্র । ভাংগন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , বিষখালী নদীর পশ্চিম দিকে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা , পূর্ব দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত । উত্তরে ঝালকাঠীর সুগন্ধ্যা নদী ও বরিশালের কির্ত্তনখোলা নদীর সাথে প্রবাহমান । দক্ষিনে বলেশ্বর নদী ও বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত । নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । পুরোনো থানা পাড়ার বিপরীত দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিক বেতাগী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এ কারণে ভেংগে যাচ্ছে বেতাগী’র এ জনপদ ।
বর্ষা মৌসুমে ভাংগনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঝোপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ বাংলার একমাত্র কাঠবাজার অর্ধেকের বেশি দোকান বিষখালী নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে । কাঠবাজারে ৫ টি স্ব-মিল রয়েছে । এখান থেকে কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে । নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে দক্ষিণের জনপদের স্বরূপকাঠী , রাজাপুর , কাঠাঁলিয়া , বামনা , বদনীখালী , নিয়ামতি . চামটা , বরগুনা , ঝালকাঠী ও বরিশাল এর বিভিন্ন স্থানে কাঠ বিক্রি হচ্ছে । বরগুনার বেতাগীর বেতাগীতে বিষখালীর অব্যাহত ভাঙনে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে। স্থানীয়রা জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় একটানা প্রবল বর্ষণ ও প্রায়শই নদীর পানি বৃদ্ধি এবং পৌর শহরের পশ্চিম দিকে শৌলজালিয়া এলাকায় ছৈলার চর নামক একটি নতুন চর জেগে ওঠায় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে পূর্ব পাড়ে বেতাগীর পৌর শহর এলাকায় ভাঙণের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিন দিন অব্যাহত ভাঙনে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিষখালী নদীর পূর্ববর্তী এলাকায় বেতাগী বন্দর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান , দক্ষিণবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাঠবাজার , ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল , সনাতন ধর্মালম্বীদের শত বছর পুরোনো কালি মন্দির ও শ্মাশ্বানঘাট , অতিথিদের থাকার ডাক বাংলো , ঝোপখালী গ্রাম , পুরোনো থানাপাড়া , কেওড়াবুনিয়াসহ বিষখালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকীর মুখে ২০ হাজার পরিবার । ৩ কিলোমিটার ব্যাপী ভাঙগনের কবলে পাল্টে যাচ্ছে বেতাগী’র মানচিত্র ।
ভাংগন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , বিষখালী নদীর পশ্চিম দিকে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা , পূর্ব দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা অবস্থিত । উত্তরে ঝালকাঠীর সুগন্ধ্যা নদী ও বরিশালের কির্ত্তনখোলা নদীর সাথে প্রবাহমান। দক্ষিনে বলেশ্বর নদী ও বঙ্গোপসাগরের সাথে প্রবাহিত । নদীর স্রোত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । পুরোনো থানা পাড়ার বিপরীত দিকে চর জেগে উঠায় নদীর স্রোত পরিবর্তিত হয়ে পূর্বদিক বেতাগী দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । এ কারণে ভেংগে যাচ্ছে বেতাগী’র এ জনপদ। বর্ষা মৌসুমে ভাংগনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় । গত বছর বর্ষা মৌসুমে ঝোপখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ বাংলার একমাত্র কাঠবাজার অর্ধেকের বেশি দোকান বিষখালী নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে । কাঠবাজারে ৫ টি স্ব-মিল রয়েছে । এখান থেকে কাঠ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে । নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে দক্ষিণের জনপদের স্বরূপকাঠী , রাজাপুর , কাঠাঁলিয়া , বামনা , বদনীখালী , নিয়ামতি . চামটা , বরগুনা , ঝালকাঠী ও বরিশাল এর বিভিন্ন স্থানে কাঠ বিক্রি হচ্ছে ।
কাঠবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দোকান মালিক অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল আমিন বলেন,‘ সরকারের অতিশীঘ্রই বন্দর রক্ষা তথা কাঠবাজার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার , তা হলে নদীতে যেভাবে ভেংগে যাচ্ছে ২/১ বছরের মধ্যে কাঠবাজারের অস্থিত্ব কিছুই থাকবে না । শত বছরের পুরোনো বেতাগী’র সনাতন ধর্মালম্বীদের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী কালিমন্দির আর কিছু দিনের মধ্যে বিষখালী নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে । এ ব্যাপারে বন্দন ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বেতাগী বন্দর অতি পুরাতন , এ বন্দর, কালিমন্দির ও শ্মশ্বাণঘাটকে রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার । ’ ভাংগন কবলিত এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবাহান বলেন , ‘ আমরা অরক্ষিত অবস্থায় আছি , এ ব্যাপারে সরকার যদি বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা না নেয়া হলে তবে এর অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে । বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন,‘ নদী ভংগনরোধে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্দের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। প্রয়োজীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাংগনরোধ কাজ হবে।’ বর্তমান সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম গত ১৪/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বেতাগীর বিষখালী নদীতে ভংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে বলেন,‘ বেতাগী পৌর শহরসহ বিষখালীর অব্যাহত ভাংগন কবলিত এলাকা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।’
কাঠবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দোকান মালিক অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল আমিন বলেন,‘ সরকারের অতিশীঘ্রই বন্দর রক্ষা তথা কাঠবাজার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার , তা হলে নদীতে যেভাবে ভেংগে যাচ্ছে ২/১ বছরের মধ্যে কাঠবাজারের অস্থিত্ব কিছুই থাকবে না । শত বছরের পুরোনো বেতাগী’র সনাতন ধর্মালম্বীদের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী কালিমন্দির আর কিছু দিনের মধ্যে বিষখালী নদীর গর্ভে হারিয়ে যাবে । এ ব্যাপারে বন্দন ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র কর্মকার বলেন, ‘বেতাগী বন্দর অতি পুরাতন , এ বন্দর, কালিমন্দির ও শ্মশ্বাণঘাটকে রক্ষার জন্য সরকারের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার । ’ ভাংগন কবলিত এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুস সোবাহান বলেন , ‘ আমরা অরক্ষিত অবস্থায় আছি , এ ব্যাপারে সরকার যদি বর্ষা মৌসুমের মধ্যে দ্রুত ব্যাবস্থা না নেয়া হলে তবে এর অস্থিত্ব হারিয়ে যাবে ।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান বলেন,’ বিষখালী নদী ভাংগন সম্পর্কে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্ত্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’ বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন,‘ নদী ভংগনরোধে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় অর্থ বরাদ্দের চাহিদা পত্র পাঠিয়েছি। প্রয়োজীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে ভাংগনরোধ কাজ হবে।’ বর্তমান সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম গত ১৪/০৬/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বেতাগীর বিষখালী নদীতে ভংগন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে বলেন,‘ বেতাগী পৌর শহরসহ বিষখালীর অব্যাহত ভাংগন কবলিত এলাকা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।’
Leave a Reply