গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : জাতীয়তাবাদী যুবদল বরিশালের গৌরনদী উপজেলা শাখার সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ ছাইয়েদুল আলম সেন্টু খানের বাড়িতে শনিবার ঈদুল আযাহা’র দিন রাতে একদল পুলিশ হানা দিয়েছে। এ সময় তারা ওই যুবদল নেতার পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানী করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ প্রতিকৃয়া ব্যাক্ত করেছেন ওই যুবদল নেতার পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা এম, জহির উদ্দিন স্বপন।
যুবদল নেতা সেন্টু খান জানান, শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা’র দিন তিনি তার পৈত্রিক বসত ভিটা উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের লেবুতলী গ্রামের খান বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই দিন বিকেল ৪টার পর থেকে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা তার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে ওই বাড়িতে ভীর করছিলেন। রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করে বাড়িতে আসা দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ৯জন নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে তিনি ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে উপজেলা সদরে আসেন। বাড়ি থেকে তিনি বের হওয়ার পরপরই গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই পুলিশ অফিসার ও থানা পুলিশের ৬জন কনেষ্টবল ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা যুবদল নেতার পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানী করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ যুবদল নেতার পরিবারের সদস্যরা সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কি রাষ্ট্রের নাগরিক না। পবিত্র ঈদের দিন পরিবারের স্বজনদেরকে নিয়ে আমরা কি ঈদের আনন্দটুকুও করতে পারব না। সে অধিকারও কি সরকার হরণ করে নিল।
অপর দিকে রাজধানী ঢাকায় বসে মোবাইল ফোনে এ খবর জানতে পেরে ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বিএনপি নেতা এম, জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি বলেন, দেশটা আজ এমন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে যে, পবিত্র ঈদের দিনটিতেও বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা নিজ বাড়িতে দলীয় সহকর্মীদের নিয়ে ঈদের আনন্দ উৎসব উদযাপন করতে পারছেনা, পুলিশ সেখানে বাঁধা দিচ্ছে। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানী করছে।
ঈদ উৎসব উদযাপনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ওই বাড়িতে বেশ কিছু অপরিচিত লোকজন জড়ো হয়েছে। তারা সেখানে সন্ত্রাস ও নাশকতার মত কর্মকান্ড ঘটাতে পারে। এমন খবরের ভিত্তিতে থানার এসআই মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তারা সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি। যুবদল নেতার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Leave a Reply