নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের ধানগবেষণা রোডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের ৩০ গজ দূরত্বে আশ্রাফিয়া মাদ্রাসার সম্মুখে এক সিএনজি ড্রাইভারকে ছুরি ঠেকিয়ে মারধর করে টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার ( ৩ আগস্ট ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত রাব্বি ফকিরকে (১৮) উদ্ধার করে শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাব্বি ফকির নবগ্রাম রোডের ২৭নং ওয়ার্ডের ডেফুলিয়া এলাকার হারুন ফকিরের ছেলে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে যাহার নং-৮৫, তাং-০৩/০৮/২০২০ইং। এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় সিএনজিতে করে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ঘাট থেকে রুপাতলী সেখান থেকে ধানগবেষণা রোড আশ্রাফিয়া মাদ্রাসার সামনে আসে। সেই যাত্রীদের কাছে ভাড়া চাইলে তারা চার-পাঁচ জন ছিনতাইকারী তার ওপর হামলা চালায় এবং সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে অচেতন করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীরা রাব্বি ফকিরকে উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিক্যালে পাঠায়।
এর আগে, ২৪নং ওয়ার্ডের ধানগবেষণা রোড এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পরে সর্বস্ব হারিয়েছে অনেকেই। এরা মাদক সেবী ও এদের ব্যবসার রমরমা বাণিজ্য চলে এই এলাকায়। কিছুদিন দিন পূর্বে কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকায় বরিশালের মাদক ব্যবসার বড় স্পটের মধ্যে ধানগবেষনা এলাকার নামও রয়েছে। এই এলাকাটি শহরতলী এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বেশী আর এই মাদক সেবনের টাকা যোগাতেই মাদক সেবীরা চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পরছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনগন। এছাড়াও এই ছিনতাইয়ের বিষয়ে ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনিছ শরীফের মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি জানান আমার এ বিষয়ে জানা আছে যাদের মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই হয়েছে তারা আমার কাছে আসছিলো আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। সন্ধ্যার পরে এই এলাকায় প্রতিটি মোড়ে আনাচে কানাচে বখাটেদের আড্ডা প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এইসব বখাটেরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে দেখা গেছে কিছু কিছু মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ছাড়া পেয়ে আবার পুনঃরায় এলাকায় মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু মাদকব্যবসায়ী প্রশাসনের নজর এড়ানোর জন্য অন্য এলাকা ছেড়ে এই সব শহরতলী এলাকাগুলোতে মাদক ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে! এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে আমরা বাসাবাড়িতে কীভাবে নিরাপদ থাকবো। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
Leave a Reply