নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ ঘন্টায় এক ইউপি মেম্বারসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অগৈলঝারা উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া করোনা আক্রান্ত ছিলেন। বাকি চারজনের করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ১টা ৬মিনিট থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিটের মধ্যে তারা মারা যান। রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিম হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান। শেবাচিম হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১জুন রাত সাড়ে ১১টায় করেনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া(৫০)। তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রির্পোট পজেটিভ আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাকি চারজনের মধ্যে ৩০ জুলাই রাত পৌনে ১০টায় উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বরগুনা সদর উপজেলার মোশারেফ হোসেনকে (৭০)। বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ১৫মিনিটে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগে তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রির্পোট নেগেটিভ আসে। বরিশাল সদর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় কুলসুম বেগম(৭৫) কে উপসর্গ নিয়ে গত শনিবার দুপুর ১টা ৫০মিনিটের সময়ে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ২০মিনিটে তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠী জেলা সদরের বাহের রোড এলাকার লাভলী আক্তার(৩২)কে উপর্সগ নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টা ৬মিনিটে তিনি মৃত্যুরবন করেস। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসার অপেক্ষায় রয়েছে। একই দিন দুপুর ২টায় মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কররিরা এলাকার আব্দুল খালেক(৬৭)কে শেবাচিম হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটায় তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসার অপেক্ষায় রয়েছে। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত্যু পাঁচজনের মধ্যে ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া করোনা আক্রন্ত ছিলেন। বাকি চারজনের মধ্যে দুইজনের নমুনা পরীক্ষায় রির্পোট নেগেপিভ এসেছে। বাকি দুইজনের রির্পোর আসায় অপেক্ষায় রয়েছে।
Leave a Reply