নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে থ্রি-হুইলার থেকে যাত্রী নামিয়ে রেখে তা বাসে তুলে নিচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। আবার বাস মালিক সমিতির কথামত রুটে না চললে থ্রি-হুইলার চালকদের মারধর করারও অভিযোগ পুরোনো। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতি।
অভিযোগ করেন, বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এভাবে আড়াই ঘন্টা দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর ফের বাস চলাচল শুরু করে বাস মালিক সমিতি। টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস এবং টেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরিয়ার বাবু এ সংঘর্ষের ব্যাপারে কিছু জানেন না। পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্নকাঠি ভোলার রাস্তার মোড়ে রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসানো হয়। চেকপোস্টে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারাসহ ওই এলাকার মাস্তান প্রকৃতির যুবকদের রাখা হতো বলে অভিযোগ করেছে থ্রি-হুইলার চালকরা। চেকপোস্টে আলফা-মাহিন্দ্রা, হলুদ অটো, সিএনজি এবং রিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে রেখে তা রূপাতলী বাস মালিক সমিতির আওতায় চলাচলকরা বাসে তুলে দিত।
চেকপোস্টে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরাও যাত্রী নামিয়ে বাসে তুলে দিচ্ছেন লকডাউন শিথিল করার পর থেকে সেই চেকপোস্ট নির্ধারিত নিয়মেই বসছিল। সদ্য সম্পন্ন ঈদ-উল-আযহায় বাস মালিক সমিতির চেকপোস্ট আরও জোরালো করা হয়। চেকপোস্টে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরাও যাত্রী নামিয়ে রাখতেন। জানা গেছে, আজ শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাহিন্দ্রা থেকে যাত্রী নামিয়ে রাখার চেষ্টা করলে চেকপোস্টের বাস-শ্রমিক নেতাদের সাথে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে মাহিন্দ্রা শ্রমিকরা চেকপোস্টের চেয়ার ভাংচুর করে বলে দাবী করেছে বাস মালিক সমিতি। রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন দাবী করেন, মহাসড়কে অবৈধভাবে থ্রি-হুইলার চলাচল করে আসছে। বাস-মালিক শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল সেই থ্রি হুইলার বন্ধের চেষ্টা করে আসছে। এ সময় মাহেন্দ্র শ্রমিকরা বাস মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে মালিক-শ্রমিকরা তাৎক্ষনিক বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের বিচারের আশ্বাস দেয়ায় সকাল ১০টার দিকে ফের ওইসব রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যারা দোষী হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply