বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
ওসি প্রদীপের বিচার চাইলেন সেই দুই সহোদরের স্বজন

ওসি প্রদীপের বিচার চাইলেন সেই দুই সহোদরের স্বজন

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সদ্য সাসপেন্ড হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যামামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ এলাকার আজাদ ও তার ভাই ফারুককে টেকনাফ থানায় ধরে নিয়ে ফোন করে ৮ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা দিতে না পারলে তাদের ‘ক্রসফারারে’ হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন।

গত ১৫ জুলাই রাতে টেকনাফের জালিয়াপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করা হয় আজাদ ও ফারুককে। তাদের হত্যা করিয়েছেন প্রদীপ কুমার দাশ। এসব অভিযোগ নিহতদের বোন আইরিন আকতারের। গতকাল আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আইরিন আক্তার বলেন, তার ভাই আজাদ দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল। গত ৬ রমজান দেশে আসে। বড়ভাই ফারুক দেশে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। পাশাপাশি তারা স্থানীয়ভাবে পেয়ারা বাগান করতেন। ফারুক ও আজাদ ইয়াবার কারবারে কখনো জড়িত ছিলনা।

আইরিন আরও বলেন, গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ তার এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সর্বশেষ ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আজাদের মোবাইল ফোন থেকে মায়ের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিলÑ ‘মা আমি শেষ।’

এর পরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১৫ জুলাই চন্দনাইশ থানায় এ বিষয়ে জিডি করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দুপুর ২টার দিকে ফারুকের বাসায় পুলিশ আসে। তারা বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কিছু না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা বলে ফারুকে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ; কিন্তু রাত ৮টার দিকে জানতে পারি, ১৪ জুলাই ফারুকের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।

পরে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় খবর নিয়ে জানা যায় ফারুক ও আজাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। ওইদিন রাত ১০টায় অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয়Ñ দাবিকৃত টাকা না দিলে আজাদ ও ফারুককে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হবে। গত ১৬ জুলাই সকাল ৭টার দিকে টেকনাফ থানা থেকে ফোন আসে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে ফারুক ও আজাদের লাশ চিহ্নিত করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গত ১৮ জুলাই লাশ নিয়ে এসে চন্দনাইশের কাঞ্চননগরস্থ ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিচার বিভাগ, মানবাধিকার কমিশনের কাছে ওসি প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে নিহত আজাদ ও ফারুক হত্যার বিচার দাবি করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com