করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিন বন্ধ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খুব শিগগিরই তা বন্ধ করা হচ্ছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশে রোগীর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া এবং প্রায় প্রতিদিনই ৩০ এর বেশি মৃত্যুর মধ্যে এই বুলেটিন প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে পরিস্থিতির ‘উন্নতি’ ঘটায় এখন আর এমন বুলেটিন প্রচার করার প্রয়োজন দেখছেন না তারা।
তিনি বলেন, “চার-পাঁচ মাস ধরে তো বুলেটিন হলোই। এখন তো আল্লাহর রহমতে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। আমরা মনে করি এখন সংক্রমণ কমে আসছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এ কারণে আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়মিত একজন ব্যক্তি দিয়ে বুলেটিন না করে প্রেস রিলিজ দেওয়া।”
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শুরুতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং চলছিল। পরিস্থিতির প্রয়োজনে এক পর্যায়ে তা অনলাইনে গেলেও সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল।
কিন্তু গত ৮ এপ্রিল সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ বন্ধ রেখে শুধু প্রতিদিন বেলা আড়াইটায় বুলেটিন চালু রাখা হয়েছিল। শুরুতে এই ব্রিফিংয়ে আসতেন আইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা; মাঝে-মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদও আসতেন।
তবে বুলেটিন চালুর পর অধিকাংশ দিনই সর্বশেষ তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এই বুলেটিনই এখন প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে। তার পরিবর্তে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন থেকে দৈনিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটা লিখিত প্রেস রিলিজ আকারে আসবে। এটা আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই কার্যকর হয়ে যাবে।”
চীনে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন শুরু করে আইইডিসিআর।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতেন। তখনই মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও সংবাদ সম্মেলনে আসতেন।
দেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর গত মার্চে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আইইডিসিআরের পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলন করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবন থেকে। তবে সেব্রিনা ফ্লোরার সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করতে থাকেন অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও তার বাসা থেকে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিতেন।
ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন হয়ে যায় সংবাদ বুলেটিন।
Leave a Reply