পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের নদ–নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জোয়ারের পানিতে জেলার হাটবাজার, সড়কসহ বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। জেলার নদ–নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে এক মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জোয়ারের সময় জেলার নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে জেলার অন্তত ১০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ফসলের মাঠ, বাড়িঘর, হাটবাজার, ফেরিঘাট তলিয়ে যায়। ভাটার সময় আবার পানি নেমে যায়। মঠবাড়িয়া পৌরসভার দক্ষিণ বন্দর এলাকা, থানাপাড়া, উপজেলার বড়মাছুয়া, মিরুখালী, দাউদখালী, তুষখালী, ধানীসাফা, বেতমোর ও টিকিকাটা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইন্দুরকানি উপজেলার ৯ গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ৩০, ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরসহ ৮, নাজিরপুরে ১৫, নেছারাবাদ উপজেলার ৬ ও পিরোজপুর সদর উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার চরখালী, আমরাজুড়ি, সোনাকুর, বেকুটিয়া ফেরিঘাট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ইন্দুরকানি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন বলেন, উপজেলার পাড়েরহাট বাজার পানিতে ডুবে গেছে। কালাইয়া, পূর্ব ইন্দুরকানি, খোলপটুয়া, ট্যাংরাখালী, চ-ীপুর, সাউদখালী, চরবলেশ্বর, পাড়েরহাট গ্রাম ও চরখালী ফেরিঘাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া বলেন, উপজেলার ৩০ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে সবজিখেতসহ মাছের ঘেরের বেশ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ বলেন, মনোহরপুর, পদ্মডুবি, দেউলবাড়ি, সোনাপুর, উত্তর গাওখালী, উত্তর পাকুরিয়াসহ নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মঠবাড়িয়া পৌরসভার দক্ষিণ বন্দর মহল্লার ইসরাত জাহান বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে কয়েক দিন ধরে রাস্তাঘাট, ঘর তলিয়ে যাচ্ছে। রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ পরিবার রান্না করতে পারছে না। তবে বছরের পর বছর আমরা এ ভোগান্তি পোহাচ্ছি।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নদ–নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় এক মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে প্রায়ই জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়।
Leave a Reply