নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একজন সার্জারী ও একজন এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ২টি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বন্ধ রয়েছে। সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের ২টি স্বংক্রীয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা রোগীদের কোন কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন যাবত অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকার কারনে অপারেশন থিয়েটারের মেশিনপত্র ও সার্জিক্যাল সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন নজর দিচ্ছেন না। আগৈলঝাড়া উপজেলা সরকারী হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার জনসাধারনের চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষে ১৯৭২ সালে আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা এলাকায় ৩১শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। এ হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ১টি অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করা হয়। কিন্তু ১জন সার্জারী বিশেষজ্ঞ ও একজন এ্যানেসথেসিয়ার (অজ্ঞান করার) ডাক্তারের অভাবে শুরু থেকে গত ৪৮ বছর ধরে অপরেশন থিয়েটারটি বন্ধ রয়েছে। এরপরে গত ২০০৪ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ওই সময় নতুন করে পোষ্ট-অপারেটিভ রুমসহ ৫টি রুম নিয়ে তৈরি করা হয় আরো একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। ওই বছর অপারেশন থিয়েটারটি চালুর জন্য সরকার আরো একটি আধুনিক এ্যানেসথেশিয়া মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দেয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার চালুর জন্য অদ্যবধি কোন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়নি। গত ১৬ বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারের মেশিনপত্র এখন পর্যন্ত রুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে। ফলে এ হাসপাতালে ২টি অপারেশন থিয়েটার থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১ জন অভিজ্ঞ সার্জারী ও ১জন এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে রোগীদের কোন কাজে আসছে না। অপারেশনের জন্য রোগীদের বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে অথবা অন্যত্র যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত অপারেশন থিয়েটারের মেশিনপত্র অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে ওই ওটিতে মাইনর অপারেশন করা হয়। দুইজন চিকিৎসকের জন্য মেজর কোন অপারেশন করা যাচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে সাড়া মিলছে না। ডাক্তার থাকলে এলাকার রোগীরা অল্পখরচে অপারেশন করাতে পারত।
Leave a Reply