রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমের অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ চার্জগঠনের আদেশ দেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, বৃহস্পতিবার আদালত শুনানিতে আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে চার্জগঠনের আদেশ দিলে আসামি সাহেদ নির্দোষ দাবি করেছেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট একই আদালত আসামি সাহেদের উপস্থিতিতে চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে ২৭ আগস্ট চার্জগঠনের শুনানির দিন ঠিক করেন।
তার আগে গত ৩০ জুলাই এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের এ মামলায় সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর গত ১৩ আগস্ট চার্জশিট মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্ট ও ভুয়া নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই তার ওই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। রিমান্ডে নিয়ে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে উত্তরার তার একটি কার্যালয় থেকে অবৈধ অস্ত্র ও এবং জাল টাকা উদ্ধার করেন।
ওই ঘটনায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলায় গত ২৬ জুলাই আদালত তার ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে গত ১০ আগস্ট পদ্মা ব্যাংকের ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ৬ হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়।
এর একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। এরপর সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওইদিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply