ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ কাঠাঁলিয়ায় বেড়েই চলেছে ‘কিশোর গ্যাং’য়ের দৌরাত্ম্য। একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শহর থেকে ইউনিয়নে সব খানেই চলমান আছে তাদের ত্রাসের রাজত্ব। হামলা,মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে তারা। কিশোর গ্যাংয়ের হাতে গত এক মাসে দুইটি কোপা-কুপির ঘটনা ঘটেছে। ছোটখাটো যেকোনও ইস্যুতে এই কিশোররা একত্র হয়ে হামলা চালায়। তারপরও তারা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এসব কিশোর অপরাধীদের আড়াল থেকে কেউ না কেউ মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা মনে করেন, এখনই লাগাম টেনে না ধরলে আগামীতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তারা।
কাঠাঁলিয়ার আওরাবুনিয়া তালগাছিয়া গ্রামের কেতাব আলী মোল্লা জানায়,জমির নগদ টাকা চাওয়ায় দুলালের সাথে আদম আলীর বাকবিতন্ডা হলে গতকাল রাত আনুমানিক ৯টারদিকে মুন্সিরাবাদ বাজার থেকে আদম আলী আকন বাড়ি ফেরার পথে বড় ব্রিজের উপর ওৎপেতে থাকা ‘কিশোর গ্যাং’ বাহিনীর প্রধান দুলাল খান পিতা লাল খান,তার ছেলে জাহিদসহ তারা ১৪জন বাহিনী মিলে আদম আলীর উপর হামলা চালায়। আদম আলী আকন উত্তর তালগাছিয়ার তুজাম্বার আকনের ছেলে। এরা এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে আদম আলির মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে খালের চরে ফেলে তারা চলে যায়।
এই ‘কিশোর গ্যাং’ কিশোর বয়সী সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, চাপাটি, রামদা, ছুরি-লাঠিসহ মহড়া দিয়ে এলাকায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, বেকার ও শ্রমিক শ্রেণির কিশোর। তাদের কোনও গ্যাং প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে। মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গেলেও তারা রয়েযায় ধরা ছোয়ার বাইরে। এদের মধ্যে ইলিয়াস নামে একজন সে হাজার হাজার ইয়াবা বিক্রি করে। এই এলাকায় ইয়াবার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে ছোট থেকে বড়োরা এমনকি মেয়েরাও সেবন করছে ইয়াবা।
ঐএলাকার সোহেল হাওলাদার জানায়,কিছুদিন আগে এই ‘কিশোর গ্যাং’ এরইমধ্যে কয়েকটি দুর্র্ধষ ঘটনা ঘটিয়েছে। একজনকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করেছিলো তার পায়ে কিন্তু সেই লোক এখনও কোন বিচার পায়নি। তারপর এই আদম আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে। আমরা তাকে রাজাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে রেফার করে বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আদম আলীর স্বজনরা জানায়,তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের ক্ষতস্থানে ডাক্তারা ৭২টি সেলাই দিয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা ভালো না। ঘটনারদিন রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল আসামিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁেজছে কাউকে পায়নি। এ ব্যাপারে এ এস আই আব্দুর রহমান বলেন,আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে আসামিদের বাড়ি তল্লাসি করেছি কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply