নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কেন্দ্রীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে লঞ্চঘাটে বিশৃঙ্খল কা- ঘটিয়েছেন বরিশাল জেলা যুবদলের তিন শীর্ষ নেতা ও তাদের অনুসারীরা। এসময় তারা একে অপরের সাথে হাতাহাতি এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে আসা যুবদলের শীর্ষ নেতারা বিব্রত হয়েছেন। রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে বরিশাল নগরীর নদী বন্দর এলাকায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিম উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলু। যদিও এ বিষয়টি নিয়ে তিন নেতাই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। তারা নিজেরা লাঞ্ছিত হওয়ার কথা অস্বীকার করলেও অপরজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের একাধিক নেতা জানান, ‘বরিশাল জেলা যুবদলের অধীনস্ত বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের লক্ষ্যে রোববার ভোর রাতে লঞ্চ যোগে বরিশালে আসেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোনায়েম মুন্না ও যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হোসেনসহ কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। তাদের অভ্যর্থনা জানাতে ভোর রাতে লঞ্চ ঘাটে জড়ো হন বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পৃথকভাবে তাদের অনুসারীদের নিয়ে ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের অভ্যর্থনা জানান তারা। সূত্রগুলো আরও জানায়, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ লঞ্চঘাট থেকে হোটেলে যাবার পথে গাড়িতে ওঠা নিয়ে যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহমেদ বাবলু’র সঙ্গে একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম তসলিম উদ্দিনের বাগবিত-া হয়। এক পর্যায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই তসলিম, হাফিজ আহমেদ বাবলুকে অকথ্য ভাষায় গালি দিলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এসময় বাবলু ও পারভেজ আকন বিপ্লব মিলে তসলিমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে অবশ্য হোটেলে পৌঁছাবার পরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনেই তসলিম নিজের ভুল স্বীকার করে বাবুলু’র নিকট দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েনেছ প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ প্রসঙ্গে হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই পারে। সে জন্য তসলিম আমার মাকে নিয়ে গালি দিতে পারে না। আমাকে গালি দেয়ায় দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। এসময় সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আমাদের ছাড়িয়ে দিয়েছেন। পরে তসলিম নিজের ভুল বুঝতে পেরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
তবে সাধারণ সম্পাদক এইচএম তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার সাথে কোন ঝামেলা হয়নি। মূলত গাড়িতে ওঠা নিয়ে সহ-সভাপতি নাহিদ এর সাথে বাবলু এবং বিপ্লবের ঝামেলা হয়েছে। এসময় নাহিদ ও তার লোকেরা ওই দু’জনকে মারধর করেছে। আমি গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া ওদের কাছে ক্ষমতা চাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। অপরদিকে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লব বলেন, ‘আমার সাথে কারোর সাথেই কোন বিরোধ বা ঝগড়া হয়নি। বরং বাবলু ও তসলিমের মধ্যে বিরোধ হয়েছে। কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা ছিলো কোন ব্যক্তি স্লোগান হবে না। কিন্তু সেই নির্দেশনা ভেঙে তসলিম তার লোকেদের দিয়ে নিজের নাম নিয়ে স্লোগান দেওয়ায়। এ নিয়ে কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তসলিম বাবলুর সাথে যে আচারণ করেছে সে জন্য হোটেলে পৌঁছে আমার কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছে। অথচ এখন আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কথা বলছে। এটা তার পক্ষে কখনই সম্ভব নয় জানিয়ে বিপ্লব বলেন, ‘নাহিদের সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সে আমার সাথে বিরোধ করতে আসবে কেন। তসলিম মিথ্যাচার করছে বলে দাবি পারভেজ আকন বিপ্লবের।
Leave a Reply