বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশন ও কঙ্গনা রানাউতের মাঝে শুরু হওয়া তিক্ততা যেন শেষ হচ্ছে না। এবার হৃতিক এক বিস্ফোরক দাবি করলেন। তার দাবি, কঙ্গনা তাকে নিজের নগ্ন ছবি মেইল করেছিলেন, যা তিনি আদালতকে দেখিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি হৃতিক পুলিশ ও আদালতের কাছে কঙ্গনার পাঠানো কিছু ই-মেইল জমা দিয়েছেন। সেই ই-মেইল দেখে মনে হচ্ছে, হৃতিক-কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে, তা কঙ্গনার পক্ষ থেকে একান্তই একতরফা ছিল। কঙ্গনাই নিজের কল্পনায় এ সম্পর্ক ভেবে নিয়েছেন বলে একটি ভারতীয় দৈনিক দাবি করেছে। হৃতিককে পাঠানো ই-মেইলে কঙ্গনা লিখেছেন, তার ‘অ্যাসপারগারস সিনড্রোম’ (সহজ সামাজিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে অক্ষমতা) ছিল। সব মিলিয়ে এখন হৃতিকের আইনজীবীরা বলছেন, তাদের মক্কেল নির্দোষ, যত গণ্ডগোলের মূলে কঙ্গনা!
তবে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকী দাবি করেছেন, তার মক্কেলের ই-মেইল হ্যাক করা হয়েছে। এ আইনজীবী বিবৃতি দেন, ‘কঙ্গনার অভিযোগ, হৃতিক রোশন ধারাবাহিকভাবে তার ই-মেইল হ্যাক করেছেন, যার জন্য কঙ্গনাকে দুটি মেইল আইডি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।’
পাল্টা হৃতিকের আইনজীবী বলছেন, ছয় মাস ধরে কঙ্গনা হাজার হাজার মেইল পাঠিয়েছেন হৃতিককে। পুলিশের কাছে জমা দেওয়া ই-মেইলগুলো থেকে দেখা যায়, কোনো কোনো দিন ছয় মিনিট পরপর হৃতিককে মেইল করেছেন তিনি। একটি মেইলে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হৃতিকের উদ্দেশে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমরা যখন প্রথমবার একসঙ্গে থাকব, এমন কিছুই তোমার জন্য অপেক্ষা করবে।’
হৃতিকের আইনজীবীরা দেখিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবরের একটি ই-মেইল থেকে পরিস্কার যে, হৃতিক তার এসব কথায় প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। তাদের দাবি, কঙ্গনার পাঠানো ই-মেইলে লেখা, ‘সকালে উঠে প্রথমে তোমার নাম দিয়ে গুগলে খুঁজি। দিন শুরু করার আগে যদি একটাও নতুন ছবি দেখতে পাই, একটা নতুন কোনো ইন্টারভিউ বা কোনো খবর…। আশা করি এই রুটিন তাড়াতাড়ি শেষ হবে। তোমায় গুগলে না খুঁজে ফোন করে তোমার গলা শুনব। তোমার সঙ্গে কথা বলে দিন শুরু হবে আমার।’
২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পাঠানো আরেকটি মেইলে রয়েছে, ‘এই মেইলগুলো পাঠানো খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। উত্তরে কিছুই পাচ্ছি না।’ তার আগে আগস্ট মাসে আর একটি মেইলে লেখা, ‘অ্যাসপারগারস সিনড্রোম রয়েছে আমার। এ ধরনের মানুষ অনেক সময় কাল্পনিক সম্পর্কে বাঁচেন। কিছু দিন ধরে তোমার সঙ্গেই থাকছি বলে মনে হচ্ছে।’
কঙ্গনাকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন হৃতিক, গত ১৭ মার্চ কঙ্গনার এক বন্ধু এমনটা দাবি তোলেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে কঙ্গনাকে প্রেম নিবেদন করেন হৃতিক। যে দাবি প্রথমেই অস্বীকার করে হৃতিক জানান, তিনি ওই সময়ে প্যারিসে ছিলেনই না। পরে তার আইনজীবীরা পাসপোর্ট প্রমাণ হিসেবে দেখিয়ে বলেন, তাতেও ওই সময়ে প্যারিস সফরের কোনো প্রমাণ নেই।
Leave a Reply