যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মৃদু থেকে মধ্যমাত্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির ওষুধ প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান ফাইজার ইনকরপোরেশন। এর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শিহরণ, পেশিতে ব্যথা। আবার কারও কারও মধ্যে তীব্র জ্বরও দেখা গেছে। যদিও এ উপাত্তগুলো এখনো ফাইজার যাচাই-বাছাই করতে পারেনি।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষায় কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। তাদের প্রত্যেককে পরীক্ষামূলক টিকা বা প্লাসেবো দেওয়ার পর এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের সামনে টিকা নিয়ে এসব কথা জানান ফাইজার কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির টিকা গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন জ্যানসেন বলেন, তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপের এ পরীক্ষার উপাত্ত দেখতে পারেন কেবল একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষণ কমিটি। টিকাটি নিয়ে নিরাপত্তাজনিত কোনো উদ্বেগ দেখা দিলে ওই কমিটি তাদের বিষয়টি জানাবে। যদিও এখন পর্যন্ত এ কমিটি এমন কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে মিলে করোনা ভাইরাসের এ টিকা তৈরি করছে ফাইজার। গত শনিবারই কোম্পানিটি এ টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৪ হাজার করার প্রস্তাব করে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষের কাছে। স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবের ফলে কোম্পানি দুটি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৬ বছর বয়সী, স্থিতিশীল এইচআইভি রোগী, হেপাটাইটিস সি ও বিতে আক্রান্তদের শরীরেও টিকাটির পরীক্ষা চালাতে পারবে। এরই মধ্যে ২৯ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এ টিকা গ্রহণে নাম নিবন্ধন করেছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনার টিকায়ও এক স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে টিকার চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তবে সম্প্রতি আবার এ টিকার ট্রায়াল শুরু ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানি দুটি।
Leave a Reply