ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে থানায় আটকে রেখে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন এই তথ্য জানান। অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত আলী, কনস্টেবল নূরুল ইসলাম, জমশেদ ও নাজমুল ইসলাম।
এডিশন্যাল এসপি আনোয়ার হোসেন গতকাল রবিবার বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে আরএফএল কোম্পানির ‘বেস্টবাই’ শোরুমের ব্যবস্থাপক লুৎফুর রহমান মোটরসাইকেল করে অলিপুর আসছিলেন। তার সঙ্গে সোহরাব নামে এক লোক আরোহী ছিলেন। পথে মোটরসাইকেল দাঁড় করে কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। মোটরসাইকেল ও আরোহী লুৎফুর রহমানকে পুলিশের কাছে জিম্মায় রেখে
সোহরাব বাড়ি যান কাগজপত্র আনতে। কিন্তু তিনি আর কাগজপত্র নিয়ে আসেননি। পরে পুলিশ লুৎফুর রহমানকে থানায় নিয়ে যায়। তাকে হাজতে আটকে টাকা দাবি করেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন। অন্যথায় তাকে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে লুৎফুর সাড়ে ২৮ হাজার টাকা দিয়ে রাতে থানা থেকে মুক্তি পান। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর লুৎফুর রহমান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার বলেন, অভিযোগের পর গঠিত একটি তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায়। শনিবার ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
এর আগে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হককে প্রত্যাহার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ হেডকোটারের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে থানার সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
Leave a Reply