জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৪ জনে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ৪ হাজার ৪৮৫ জনে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৯ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৯৩ হাজার ৩৭৯ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ লাখ ১৭ হাজার ৯৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষের।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি:

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ১২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ১০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৩ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে শনিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১০৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৬৮০টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৭৬৫টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০.২৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮.৮৫ শতাংশ।

নতুন যে ৩৬ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ এবং নারী ১১ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৯৭৪ জন বা ৭৭.৪৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ১৫৫ জন বা ২২.৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৭৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৭ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৫.১০ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ইউএনবি