স্টাফ রিপোর্টার \ বরিশালের মুলাদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের অফিসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এক বিএনপি নেতা উপস্থিত থাকায় তুলকালাম কান্ড ঘটেছে। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি গোটা মুলাদী উপজেলায়। আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মুলাদী উপজেলা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মুলাদী উপজেলা চত্ত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আবদুল বারি ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠু খান।
এসময় মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের সদ্য যোগ দেয়া আওয়ামী লীগ নেতা দাবীদার এম.এ কাইয়ুম হাওলাদার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মানের জন্য ২ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়ার প্রস্তাব দেন। এসময় উপস্থিত কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী দাবী করে এম.এ কাইয়ুম হাওলাদারের অনুদান দেয়ার প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ব্যাপক হট্রগোল সৃষ্টি হয়। যা গোটা উপজেলায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, ২০০২ সাল থেকে বিএনপি সরকার যতদিন ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন ভাবে হামলা, মামলা ও লাঞ্চিত করেছে কাইয়ুম হাওলাদার।
এছাড়া অনেকে আওয়ামী লীগ করার কারনে তার রোষানলে পড়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় নিজে এখন আওয়ামী লীগ নেতা বলে দাবী করছেন। একইসাথে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্য এম.এ কাইয়ুম হাওলাদার এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বলে নিজেকে দাবী করছেন। এসময় অনুষ্ঠানে কাজিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ও স্থানীয় জনগন তাকে অনুপ্রবেশকারী বলে জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এম.এ কাইয়ুম হাওলাদারের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply