ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি রাজা ফকির (২৫) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হেফাজতে ছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাগেরহাটের এই আসামির মৃত্যু হয়েছে। হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হওয়ায় রাজার পরিবার অভিযোগ করছে, পুলিশ তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
হাসপাতালে লাশ দেখতে গিয়ে এমন অভিযোগ করে রাজার পরিবার। রাজা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে খানজাহান আলী (রহ.) মাজারের খাদেম বাবু ফকিরের ছেলে। গত রোববার তাকে পটুয়াখালী থেকে আটক করে নিয়ে আসে পিবিআই।
রাজাকে গ্রেপ্তার করে বাগেরহাট নিয়ে আসা হয়েছে- খবর পেয়ে পিবিআই কার্যালয়ে আসে তার পরিবার। কিন্তু তাদের দেখা করতে দেয়নি পিবিআই কর্মকর্তারা। যে কারণে রাজাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলছে পরিবার।
২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর খানজাহান আলী মাজারে তালিম মল্লিক নামে এক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি রাজা ফকির। মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। বাগেরহাটের এ হত্যা মামলাটি বর্তমানে বাগেরহাট পিবিআই তদন্ত করছে।
রাজার বাবা বাবু ফকির অভিযোগ করেন, ‘তালিম মল্লিক হত্যা মামলায় রাজাকে পিবিআই পটুয়াখালী থেকে রোববার দুপুরে আটক করে নিয়ে এসে অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশের নির্যাতনে তার ছেলের মৃত্যু হলে সন্ধ্যায় পিবিআই লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তারা খবর পেয়ে হাসপাতালে এলে রাতেও তাদের লাশও দেখতে দেওয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply