নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েও চাকরি দিতে পারেনি। পরে চাকরি পাওয়া সাত জনের হাত-পা কেটে বিকলাঙ্গ করার চুক্তি করে এক পুলিশ সদস্য। এমন ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে বরিশালে। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর আগেই দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় করা মামলার প্রধান আসামী পলাতক বাদল খান, ওই পুলিশ সদস্যের নাম ও চুক্তিটি প্রকাশ করে। অভিযুক্ত কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম আগে বরিশাল ডিআইজি অফিসের এক কর্মকর্তার গাড়িচালক ছিলেন। বর্তমানে সিলেটে কর্মরত আছেন। গেলো বছর কোনো ধরনের ঘুষ ছাড়াই বরিশাল জেলায় কনস্টেবল পদে ৪৪ জনের চাকরি হয়। কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম সাত জনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিলেও চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। এরপর, ওই সাত জনের বদলে যাদের চাকরি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করেন। এই সাত জনের হাত-পা কেটে ফেলতে জনপ্রতি দু’লাখ টাকা করে সন্ত্রাসী ভাড়া করে। ওই বছরই, ২১ আগস্ট কনস্টেবল বিজয় কৃষ্ণের হাত কাটতে গিয়ে আটক হয় দুই সন্ত্রাসী। তাদের স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এ তথ্য। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এক বছরেও চার্জশীট দিতে পারেনি পুলিশ। এমনকি অভিযুক্ত সিরাজের বিরুদ্ধেও নেয়া হয়নি কোন আইনি পদক্ষেপ।
হাত-পা কেটে বিকালাঙ্গ করতে সিরাজুল ইসলামর সাথে তার চুক্তি হয় বলে জানায়, মামলার প্রধান আসামী বাদল। কনস্টেবল সিরাজ দাবি করেন, তিনি বাদলকে চেনেন না। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। (মোবাইলে কথা হয়েছে) অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে আইনের আওতায় আনা না হলে, দেশে এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পাবে, বলে শংকা জানান, এই আইনজীবী নেতা। মামলার পুরো রহস্য উদঘাটনে তদন্ত বাকি রয়েছে বলে জানান, পুলিশ কমিশনার। কনস্টেবল বিজয় কৃষ্ণ, মফিজুল ইসলাম, নাইম বিশ্বাস, কাউছার হোসেন, জুবায়ের ইসলাম, শাহাবুদ্দিন ও তারেকুর রহমানের হাত-পা কেটে বিকালাঙ্গ করার চুক্তি হয়েছিল।
Leave a Reply