স্টাফ রিপোর্টার ॥ শারীরিক ও মানষিক প্রতিবন্ধী (১৫) কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ধর্ষিতা কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের। এঘটনায় গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নির্যাতিতা প্রতিবন্ধীর পিতা (৬২) অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী আরজ বেপারীর পুত্র ও চার সন্তানের জনক লম্পট সিরাজুল ইসলাম বেপারী (৫০) সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সিরাজের নির্জন ঘরে ও নৌকায় নিয়ে একাধিকবার তার প্রতিবন্ধী কন্যাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। বিষয়টি ধর্ষক সিরাজের পুত্র ও বাড়ির লোকজনদের জানানো হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে তারা বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। নির্যাতিতার চাচী (৭০) জানান, গত তিনদিন থেকে কিশোরী বমি করা শুরু করলে বুধবার স্থানীয় বাটাজোর বন্দরের এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে ওই কিশোরীর রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করানো হলে অন্তঃসত্বার বিষয়টি ধরা পরে। নির্যাতিতার চাচাত ভাবী (৩০) জানান, তার প্রতিবন্ধী ননদকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে সিরাজুল বেপারীকে দেখিয়ে দেয় এবং ধর্ষণের বর্ননা দেয়। স্থানীয়রা জানান, সিরাজুল ইসলাম ছোট বেলা থেকেই লম্পট প্রকৃতির লোক। এযাবত পর পর সে তিনটি বিবাহ করেছে। বর্তমানে তার সংসারে কোন স্ত্রী নেই। স্থানীয় সেলিম হাওলাদার জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী মহল সিরাজের পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছে। অপরদিকে বাটাজোর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান এলাকায় নেই। তিনি এলাকায় ফিরলেই বিষয়টির সুন্দর ভাবে মিমাংসা করা হবে।
গৌরনদী মডেল থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলামের নামের একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply