নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়ন চায় বরিশালের তরুণরা। দেশে এই আইন ও এর বিধিমালা থাকা শর্তেও এই আইন মানছে না সিগারেট ও তামাক কোম্পানীগুলো। তামাকজাত পণ্যের কোন ধরনের বিজ্ঞাপণ করা যাবে না বলে আইন থাকলেও তা উপেক্ষিত। নতুন প্রজন্মেকে টার্গেট করে তারা এই প্রচারনা চালাচ্ছে। কিন্তু তেমন কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই বরিশালের তরুণদের সংগঠন দি অডেশাস্ ও বেসরকারি সংস্থা স্কোপ এই আইনের যথাযথ প্রযোগ দাবী করেছে। এই দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বরাবর প্রদান করেছে। সোমবার সকালে প্রদান করা এই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল নগরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ঘিরে গড়ে উঠেছে সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির দোকান। আর সেখানে নানা কৌশলে দেয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। সরকার তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নানা কার্যক্রমের পাশাপাশি আগামিতে পাঠ্যপুস্তকে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার উদ্যোগ নিচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ সকল অঙ্গীকার ও লক্ষ্য অর্জনে সরকারের পাশাপাশি তরুণরাও অংশিদার হতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় স্কোপ ও দি অডেশাস্ বরিশাল নগর ও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও তরুন প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি স্কুল ও কলেজের নিকটবর্তী দোকানে সিগারেট বিক্রয় ও বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে প্রশাসন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবী জানিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরেবরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এর হাতে স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জাহানারা ইসরাইল স্কুল এন্ড কলেজের ঋধিতা শৈলী ঋদ্ধ রোজা, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী নাফিসা রহমান, ঢাকা শিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তন্নি, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী তাসনিম জাহান, স্টাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনিরুদ্ধ খাশকেল হিমাদ্রী, দি অডেশাস্ এর সাধারণ সম্পাদক রিফাত খান, সভাপতি দুর্জয় সিংহ জয়, চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান পান্থ ও সেভ দি কোস্ট্যাল পিপল-স্কোপ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু।
Leave a Reply