রিক্রুটমেন্ট লাইসেন্স, বিদেশি কোম্পানিতে কাজের জন্য ডিমান্ড লেটার কিংবা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন কিছুই নেই। ‘ভিসা গাইড সেন্টার’ শুধু ভিসা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তবে কোনো কিছুর অনুমোদন না নিয়েও বিদেশ যেতে ইচ্ছুক- এমন মানুষদের ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছিল তারা। এর পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে গত দুবছরে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ‘ভিসা গাইড সেন্টার’।
চলতি বছরই প্রায় আড়াই হাজার লোকের কাছ থেকে কয়েক ধাপে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষার নামেও জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর শাহআলী মার্কেটে নবম তলায় ভিসা গাইড সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩-এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, এমডি, পরামর্শক, কাউন্সিলর এবং আইটি স্পেশালিস্টকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-৩-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সিএস হাফিজ এবং এমডি মোশাররফ হোসেনকে অভিবাসী আইন ২০১৩-এর ৩২ ধারায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত আরিফুল ইসলাম ও আইটি স্পেশালিস্ট সুজন রনিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদ- প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিষ্ঠানটি সিলগালাও করা হয়েছে।
Leave a Reply