পটুয়াখালী প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক দম্পতি ডা. নয়ন সরকার ও ডা. পূজা ভা-ারীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অস্ত্রোপচার ও অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বুধবার এই নির্দেশনা দেন। জানা যায়, ডা. নয়ন সরকার করোনাকালীন সময়ে ( ৩৯ তম বিসিএস) পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সরকারিভাবে নিয়োগ পান। তার স্ত্রী গাইনি বিষয়ের চিকিৎসক। ডা. নয়ন সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সস্ত্রীক প্রাইভেট প্র্যাকটিসে বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠেন। তিনি অ্যানেসথেসিস্ট হিসেবে কাজ করলেও কোনও সিনিয়রের অধীনে কাজ না করায় এখনও তার অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার মাত্রা জ্ঞান ঠিক নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া পর থেকেই পটুয়াখালী হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বাউফলের একাধিক ক্লিনিকে চিকিৎসা ও সিজার করে আসছিল ডা. নয়ন। তার স্ত্রী সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। নয়ন সরকার পটুয়াখালী হাসপাতালে ডাক্তার হওয়ায় আরও বেশি রোগী তার কাছে যায়। গত রবিবার ১৮ অক্টোবর কালিশুরী মাজেদা মেমোরিয়াল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হ্যাপী বেগম (২৪) নামের এক প্রসূতির সিজার করার পরে ওই দিন ভোর রাতে তিনি মারা যান। এর আগে ত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই দম্পতি শহরের সেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রিপা রানী (২৫) নামের এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করার পর ওই নারীর আর জ্ঞান ফেরেনি। সে রাতে তিনি মারা যান।শুধু এরাই না আরও অনেকেই এই ডাক্তারের চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই চিকিৎসক ও দম্পতিকে অস্ত্রোপচারও এ্যানেসথেসিয়া দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াওআগামী ২৪ অক্টোবর চিকিৎসা সনদ, সিজার ও অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার বৈধতার সকল সনদসহ তাদের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply