জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সাংবাদিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে সমাবেশ চলাকালে তিনি অসুস্থ বোধ করেন।
এরপর অসুস্থতা নিয়েই চেয়ারে বসে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বক্তব্য শেষ পর্যায়ে তিনি আরও বেশি অসুস্থ বোধ করলে নিজের গাড়িতে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধানমন্ডি নগর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীর চেকআপ করেন প্রফেসর ডা. নজিব মোহাম্মদ। লো পেশার হওয়ার কারণে তিনি শারীরিক দূর্বলতা অনুভব করেছেন। তবে বর্তমানে হাসপাতালে বিশ্রামে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিন। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনারই লাভ হবে। দেশের লাভ হবে। দেশ-গণতন্ত্রের দিকে প্রসারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা খেয়াল করেছেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে আহ্বান করেছেন কোন প্রকার ইয়োলো সাংবাদিকতা যেন না হয়। কিন্তু ইয়োলো জার্নালিজম তো আপনি সৃষ্টি করছেন প্রধানমন্ত্রী। মনে রাখতে হবে, সাংবাদিকরা হলেন সত্য অনুসন্ধানী। সবসময় সত্য প্রকাশ করে। আপনার সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো সাংবাদিকগণ। তারা প্রকৃত তথ্যকে আপনার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাংবাদিকদের কণ্ঠ যখনই রোধ করেন তখনই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়।
সরকারের ভুল নীতি, ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার কারণে দেশকে বাধ্য করছে একটা ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য, যোগ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, ১৪ নভেম্বর নয়, আজকেই তাকে মুক্তি দিন। সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়ে বলেন। সত্য কথা বলুন, সত্য প্রকাশ করুন। তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। আর না হলে ক্রমেই দেশ জঙ্গিবাদের দিকে যাবে। আর এর দায় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নিতে হবে।
আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্মিলিতভাবে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসবে, বলেন জাফরুল্লাহ।
বিক্ষোভ সমাবেশে মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান সাকোয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাকোয়াত, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জিনাফ এর সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার,দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
Leave a Reply