আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ দুর্গাপুজায় স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল পংকজ নামের এক যুবক। পংকজের রহস্যজনক মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছে পরিবার সদস্যরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার গ্রামের প্রিয় লাল বৈদ্যর ছেলে পংকজ বৈদ্য (৩৫) রোববার বিকেলে পুজা উপলক্ষে তার স্ত্রী মিতু বৈদ্যকে (২০) নিয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে শ্বশুর রবি হালদারের বাড়ি বেড়াতে আসে। গতকাল সোমবার সকালে পংকজ স্ত্রী মিতুর কাছে পানি খেতে চায়। স্ত্রী তাকে পানি এনে দিলে ওই পানি পান করার সময় পংকজের গলায় আটকে গিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষনিক পংকজকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সুভাষ ভক্তর কাছে নিলে তিনি পংকজকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। তাৎক্ষনিক পংকজকে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল ফাহাদ চৌধুরী পংকজকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পংকজের মা তারা রানী বৈদ্য গতকাল সোমবার সকালে হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, শ্বশুর পরিবারের সাথে পংকজের সু-সম্পর্ক ছিল না। তাই তার ছেলেকে ওই বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ করেন তিনি। খবর পেয়ে ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে পংকজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার হাসপাতালে গিয়ে পংকজের স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন। এঘটনায় পংকজের ভাই পরিতোষ বৈদ্য বাদী হয়ে গতকাল সোমবার সকালে থানায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পংকজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে বরিশাল মর্গে প্রেরন করেছেন।
Leave a Reply