লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া ॥ ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে অগনিত পর্যটকের পদভারে সুর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাখাইন মার্কেট, ঝিনুক শপ, রেঁেস্তারা, চটপটি, ফুচকা, ভুট্রা, বাদাম বিক্রীর ভাসমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতেও চলছে কেনাকাটার ধুম। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চল খ্যাত ফাতরার বনাঞ্চল, ফকির হাট, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লী ও কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট এখন শিশু কিশোর যুবক যুবতী সহ নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা নানা বয়সী পর্যটকরা তাদের স্মার্ট ফোনে কুয়াকাটার সেলফি ও ভিডিও ক্লিপস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের টহল অব্যাহত রয়েছে। ভ্রমনে আসা দম্পতি মনজুরুল হোসাইন ও শম্পা জানান, ’সন্ধ্যার পর সৈকতে বেঞ্চিতে বসে রাতের সমুদ্র ও তার বিক্ষুব্দ গর্জন অসাধারণ লেগেছে। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পট গুলোর অপরূপ দৃশ্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছি। তবে বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারনে ছেলে-মেয়েরা হোটেলে একটু অস্বস্তি বোধ করেছে। এছাড়া কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের পাখীমারা থেকে আলীপুর ১০ কি.মি. অংশের ভয়াবহ অবস্থা, যা কুয়াকাটার উন্নয়নের স্বার্থে দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।’ কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ’ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি পর্যটকদের নিরাপত্তা সহ বিনোদন নিশ্চিত করতে।’ কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মো. মোতালেব শরিফ জানান, ’ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নেমেছে। ঈদের পরদিন থেকে কুয়াকাটায় আগাম বুকিং অনুযায়ী পর্যটক রয়েছে।’মহিপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ’ঈদ উপলক্ষ্যে কুয়াকাটায় পর্যটকের একটু চাপ রয়েছে। নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ সহ মহিপুর থানা পুলিশ কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানে টহল জোরদার করেছে।
Leave a Reply