বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ৪ কিঃমিঃ পশ্চিমে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্যামপুর বর্তমানে যেখানে নূরানী ইসলামী শিক্ষা ইনিষ্টিটিউট এন্ড অরফ্যানেজ অবস্থিত তার আশে-পাশে অন্য কোন ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় দূর্গম এ এলাকায় ২০০৩ সালে কিছু ধর্মপ্রান মুসল্লী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠানটির পথ চলা শুরু হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় গুটি গুটি পা পা করে আজ প্রায় ১৭ বছর অতিক্রম হচ্ছে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের। দিন দিন শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও রয়ে গেছে নানা সমাস্য। তবে থেমে নেই মাদরাসার দ্বীনি শিক্ষা দান। প্রতিদিন ভোর থেকেই শুরু হয় এলাকার গরিব, অসহায় শিক্ষার্থীদের আরবি শিক্ষার পাঠদান। বর্তমানে এই মাদরাসাটি গোটা অঞ্চলকে দীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠার পর হতে এ মাদরাসাটি নুরানী শিশু শ্রেণি হতে দাখিল পর্যন্ত তার আপন লক্ষপানে সুনামের সহিত এগিয়ে চলছে।
৫০ শতাংশ জমির উপরে বহুতল ভবনে নির্মিত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। অনাবাসিক আবাসিক এই প্রতিষ্ঠানের চারতলা বিশিষ্ট ছাত্রাবাস নির্মিত করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে নতুন একটি ভবনের কাজ শুরু হয়েছে যেখানে ছাত্রদের খাবার ঘর ও পাকের ঘর নির্মাণাধীন কাজ চলমান। ইতোমধ্যে যার প্রায় ৩ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ ইমরান হোসেন হারুন জানান, বর্তমানে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এ মাদরাসাটি। মাদরাসার প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত আছেন ৪ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক। মাদরাসার স্থায়ী কোনো আয়ের উৎস না থাকায় দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কামনা করছেন তিনি। পাশাপাশি ধর্মপ্রান মুসলামনদের সহযোগিতা একান্ত কামনা করেছেন পরিচালনা কমিটি।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান অবসরপ্রাপ্ত এসপি জানান, দ্বীনি ইসলাম শিক্ষা করা সকল মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। মুসলমান সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আমরা অবহেলিত তাই ইসলামের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে এই জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার উদ্যেগ গ্রহন করছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বি এন। প্রতিষ্ঠার পর হতে ধর্মপ্রান মুসলমানদের সাহায্য সহযোগিতায় অনেক দুর এগিয়েছে মাদরাসা। আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সকল মুসলিম উম্মাহর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
Leave a Reply