নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এসএম রমিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনাকালীন সম্ভাব্য রোগীদের নমুনা বরিশালে প্রেরণে ভুয়া যাতায়াত বিল দেখিয়ে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে গতকাল শনিবার থেকে এ তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তবে অভিযোকারী মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভাপর ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মশিউর রহমান নাদিম উপস্থিত না থাকায় তার সাক্ষ্য নিতে পারেননি তদন্ত কমিটি। এসব তথ্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রের খবর হচ্ছে- ২৩ আগস্ট মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম রমিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাদিম। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মাদ হাসান ইমাম সাক্ষরিত চিঠিতে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই কমিটি শনিবার তদন্তের প্রথম দিন অতিবাহিত করেছে। পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, নিরপেক্ষভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে কাজ চলছে। তবে এসব অভিযোগের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম রমিজ আহমেদ।
Leave a Reply