স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহামান্য সুপ্রীম কোট, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশ থাকা সর্ত্তেও বেতন-ভাতা প্রদানে পরিচালক গরিমশি কারায় ১ জুলাই রোববার থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৫ জুন) পূর্ব নির্ধারিত এক ঘন্টা কর্মবিরতী, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন শেষে এই ঘোষনা দেন হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী কল্যান সমিতির নেতৃবৃন্দ। কর্মচারীদের এই কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি ৪র্থ কর্মচারী সমিতির বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এসময় কর্মচারীরা হাসপাতাল পরিচালককে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ কর্মচারীকে প্রাপ্ত বেতন-ভাতা প্রদানের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
এর আগে বেলা ১১ টায় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী কল্যান সমিতির কার্যলয়ে সভাপতি মোঃ মোদাচ্ছের কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সামাবেশ বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিম হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১৫ জন কর্মচারী যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারী স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থাগীত রাখার নির্দেশ প্রদান করলে কর্মচারীরা উচ্চাদালতের রীট মামলা দাখিল করে। ওই বছরের ২২ আগষ্ট উচ্চাদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রীম কোর্টে আপীল করে এবং আদালত আপীলটি খারিজ করে দেয়। চলতি বছেরর ৬ ফেব্রুয়ারী ওই রায়টি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালকে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের ডিজি। আদেশটি পেয়ে পরিচালক ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্মচারীদের বিভিন্ন দপ্তরে কার্যাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তিতে পরিচালককে গত ৪ এপ্রিল যোগদানকৃত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। কিন্তু ইতো মধ্যে কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও অদৃশ্য ও রহস্য জনক কারনে পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বেতন-ভাত প্রদান করছেন না। কাজে যোগদানের পরও বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ২১২ কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতরে জীবন-যাপন করছেন।
শেবাচিম হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী কল্যান সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী হাওলাদার’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের নতুন ও পুরাতন কর্মচারীরা পরিচালকের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন কর্মচারীদের দাবী সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোদের আশ্বাস দেন। অবস্থান বিক্ষোভ শেষে ৩০ জুনের মধ্যে পরিচালকের আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে ১ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে কর্মচারীরা হাসপাতালের বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে আসছেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয় নি। সর্বশেষ কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মতামত চেয়ে ফের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির জবাব পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply