জেলে থাকার সময় গত আট বছরে ৩১টি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এর ফলে জেল থেকে মুক্তি পেতেই সরকারি চাকরিও পান ওই ব্যক্তি। এরপর চাকরি করতে করতেই পরের পাঁচ বছরে আরও ২৩টি ডিগ্রি লাভ করেন। এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছেন গুজরাটের বাসিন্দা ভানুভাই পটেল নামের এক চিকিৎসক।
নিউজ১৮ সহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জেলা থাকা অবস্থায় এমন কৃতিত্বের জন্য ইতিমধ্যেই ভানুভাই পটেলের নাম লিমকা বুক অফ রেকর্ডস, এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড, ইউনিক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড-করা হয়েছে।
৫৯ বছরের ভানুভাই পটেল গুজরাটের ভাবনগরের বাসিন্দা। আমেদাবাদের মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর ১৯৯২ সালে তিনি মেডিকেল ডিগ্রি অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। কিন্তু সেখানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়ে কাজ করতে করতে তার এক বন্ধু ভানুভাইয়ের অ্যাকাউন্টে নিজের মাইনের যাবতীয় টাকা জমা করতেন। সেই অভিযোগেই FERA আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫০ বছর বয়সে ১০ বছরের জেল হয় তার। আমেদাবাদের জেলেই ১০ বছর কাটান তিনি। সাধারণত সাজাপ্রাপ্ত কাউকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয় না। কিন্তু ভানুভাই জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই অম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরির অফার পান। চাকরি পাওয়ার পরের পাঁচ বছরে ভানুভাই আরও ২৩টি ডিগ্রি অর্জন করেন। এভাবে মোট ৫৪টি ডিগ্রি পেয়েছেন তিনি।
করোনা মহামারির সময় নিজের জেলবন্দী জীবন এবং নিজের করা বিশ্বরেকর্ডগুলো নিয়ে গুজরাটি, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় তিনটি বই লিখেছেন ভানুভাই। ইংরেজি বইটির নাম ‘Behind Bars and Beyond’। গুজরাটে ত্রয়োদশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই চিকিৎসক।
Leave a Reply