শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন বিশ্বাবদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণকাঠী এলাকার মোঃ খলিল রহমান দীর্ঘ আট বছর পর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মাধ্যমে জমি উদ্ধার করার পর সে জমিতে ঘড় তোলার পনেরো দিনের মাথায় ভূমিদস্যু আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মোল্লা একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ফাড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘড় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। জমির মালিক জীবনের নিরাপত্তাহীনতা হয়ে পড়ায় পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করার পরও বন্দর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ভূমি দস্যু হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ করেন উক্ত জমির মালিক মোঃ খলিলুর রহমান।
সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায়ের কপি সূত্রে জানা যায় বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী এলাকার ৪৬০৩ দাগ নং জমি ও জেল নং ৬০ দক্ষিন চর আইছা মৌজার বিএস ১৭,৭০৮ দাগের সাড়ে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ আট বছর মামলা পরিচালনা করে উক্ত স্থানের ভূমি দস্যু আওয়ামীলীগ নেতা এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লার জাল জালিয়াতীর আদালতে প্রমানিত হওয়ায় সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ২০১৬ সালের ১৮ই আগস্ট খলিলুর রহমানের পক্ষে রায় প্রদান করেন। খলিলুর রহমানের উক্ত জমি উদ্বার করে দেয়ার জন্য পুনরায় আদালতে আবেদন করা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক হাদিউজ্জামান ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল খলিলুর রহমানের জমি উদ্বার সহ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন উপ- পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি আদালতের আদেশনামা প্রেরন করেন। সে মোতাবেক পুলিশ কমিশনার নির্দেশ মোতাবেক একজন এস আই,তিনজন পুরুষ ও দুই জন মহিলা কনষ্টেবল দেওয়া হয় তাদের উপস্থিতিতে গত বাইশ মে-২০১৮ দুপুর বারটায় বিজ্ঞ বিচারকের আদেশ তামিল করার জন্য জেলা জজ আদালতের নাজির এম এম রেজাউল করীম,জারীকারক মাকসুদুর রহমান,সরকারী আমিন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকাবাশীর উপস্থিতিতে মামলায় রায় পাওয়া জমি মাফ দিয়ে সরকারী লাল নিশান ও পিলার গেড়ে খলিলুর রহমানকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আট বছর বিভিন্ন আদালতে মামলা চালিয়ে একর পর এক রায় ও জমি ফিরে পেয়ে উক্ত জমিতে খলিল ঘড় নির্মান করলে মাত্র তেরদিনের মাথায় গত ৭ই জুন বন্দরথানাধীন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুলিশ ফাড়ির কতিপয় সদস্যদের সামকে একদল সন্ত্রসী বাহিনী নিয়ে সুরুজ মোল্লা খলিলুর রহমানের নির্মান কর ঘড় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে খলিল বন্দর থানায় সাধারন ডায়েরী করার অভিযোগ নিয়ে যাওয়া হলে তারা খলিলের অভিযোগ গ্রহন করেনি। পরবর্তীতে ৯ই জুন খলিল পুলিশ কমিশনারের কাছে তার জমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে এই আবেদন করা হয় যার স্বারক নং ৮৭৮৭। অভিযোগটি এসি ক্রাইম কার্যালয় থেকে ১১ই জুন বন্দর থানায় পঠানো হয় যার স্বারক ৭১৩। বরিশাল মেট্রোপলিটন ক্রাইম শাখা থেকে বিষয়টি দেখার জন্য একটি প্রতিবেদন পাঠানোর ১৪দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও বন্দর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত বৃদ্ধ খলিলুর রহমানের সহায়তায় এগিয়ে আসেননি বলে খলিল অভিযোগ করেন। খলিলুর রহমান আরো অভিযোগ করেন সে যেখানেই চলাফেরা করে তার পিছনে বেশ কিছু অপরিচিত লোক তাকে সর্বক্ষন নজরদারী রাখছে যার কারনে খলিল ও তার পরিবার নিরাপত্তহীনতায় জীবন-যাপন করছে।
এব্যাপারে এমদাদুল হক সুরুজ মোল্লার মুঠো ফোনে কল দেওয়া হলে তা দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকার কারনে কথা বলা যায়নি। পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের পাঠানো আদেশ তামিল না করার বিষয়টি জানার জন্য বন্দর থানা ইনচার্জ অফিসার মোস্তফা কামালকে ফোন করা হলে তিনি জরুরী সভায় থাকার কারনে কোন কথা বলতে পারেননি।
Leave a Reply