নাটোরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা চলছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের মঞ্চে ডেকে নাম-পরিচয় জানাচ্ছিলেন সঞ্চালক। এ সময় প্রবীণ এক নেতার নাম-পরিচয় বলা হলেও তাকে ডাকা হয়নি মঞ্চে। এতে অভিমান করে বসেন ওই নেতা। মিলনায়তন ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। পরে তার পায়ে ধরে সভায় ফিরিয়ে আনেন এক সাংসদ।
যে নেতা অভিমান করে সভা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন, তার নাম সাজেদুর রহমান খান। তিনি নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। আর যে সাংসদ তার পায়ে ধরে সভায় ফিরিয়ে আনেন তিনি নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ রোববার নবব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা শুরু হওয়ার পর পরই এ ঘটনাটি ঘটে। বিভিন্ন সূত্র ও সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে জেলার জ্যেষ্ঠ কোনো নেতা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি সাংসদ পলক কিনবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান।
কী হয়েছিল
জানা গেছে, আজ রোববার বেলা ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা শুরু হওয়ার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের মঞ্চে আহ্বান করা হয়। অতিথিরা মঞ্চের আসনে বসার পর তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে নাম প্রচার করা হয়। সঞ্চালক পরিচয় পর্বের শেষ পর্যায়ে সাজেদুর রহমান খানের নাম ঘোষণা করলেও তাকে মঞ্চে ডাকেননি। তাকে দর্শকের আসনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় অভিমান করেন সাজেদুর রহমান খান। পরে ক্ষোভ নিয়েই সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে উদ্দ্যত হন। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাকে বসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু কারও কোনো কথা না শুলে সাজেদুর রহমান খান মিলনায়তন ছেড়ে চলে যেতে থাকেন।
মিলনায়তনের গেট অবদি চলে যাওয়ার পর বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মঞ্চে বসা ছিলেন। সেখান থেকে উঠে ছুটে গিয়ে বর্ষীয়ান নেতা সাজেদুর রহমান খানকে থামানোর চেষ্টা করেন। তার তিনি সভা থেকে চলে যেতে চাইলে পলক তার পর চেপে ধরেন। পায়ে ধরে অনুরোধ করার পর সাজেদুর রহমান খান মঞ্চে গিয়ে বসেন।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর- ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং নাটোর- ২ (সদর) আসনের এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় জেলা প্রতিনিধির বিশেষ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসএম কামাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আখতার জাহান, শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি রত্না আহমেদ, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
Leave a Reply