নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন ও স্থানীয় আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী প্রধান শিক্ষকের অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ হওয়ায় তাদের উভয়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপত্তিকর ছবি ভাইরাল হওয়ায় শিক্ষক মোক্তার হোসেন সামাজিক ও পরিবারিকভাবে অপদস্থ হওয়ায় অত্মগোপনে আছেন। তবে তাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন ওই নারী প্রধান শিক্ষক। দুই শিক্ষকের অন্তরঙ্গ অবস্থার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় বিব্রত স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এই পেক্ষাপটে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকবর কবির বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জরুরি সভা ডেকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমাঞ্চ আহমেদকে প্রধান দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর সদস্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনীরুল হক। কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরিশালটাইমসকে বলেন, উভয় শিক্ষককে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল বলেন, ‘শিক্ষক মোক্তার হোসেনের সঙ্গে ওই নারী শিক্ষক বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। বিষয়টি উভয়ের পরিবার জানতে পেরে তাদের সতর্ক করা হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ায় ওই নারী শিক্ষক তার স্বামীকে তালাক দিয়ে গত ২৯ সেপ্টেন্বর নোটারির মাধ্যমে মোক্তার হোসেনকে বিয়ে করেন। এরপর মোক্তার হোসেন ওই নারী শিক্ষকের সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দিলে তিনি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আমার (উপজেলা চেয়ারম্যান) কাছে অভিযোগ করেন।’ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এরপর ওই নারী শিক্ষিকের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে তোলা ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছবিগুলো ভাইরাল হয়।
Leave a Reply