সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
২০ দলের নেতায় পূর্ণ হেফাজতে ইসলাম

২০ দলের নেতায় পূর্ণ হেফাজতে ইসলাম

হেফাজতে ইসলামের নতুন ১৫১ সদস্যের কমিটিতে ইতোমধ্যে ১২১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন মহাসচিব আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমির রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ৩৫ নেতা পদ-পদবি পেয়েছেন। মাওলানা মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে ২২ জন এবং নতুন আমির হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীর আত্মীয়-স্বজন আছেন ২০ জন। সব মিলিয়ে এ তিনজনের পক্ষ থেকেই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ৭৭ জন।

এমন অভিযোগ তুলে হেফাজতের শফীপন্থিরা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ সংগঠনকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখেছিলেন; কিন্তু নতুন কমিটির মাধ্যমে এটিকে বিএনপি-জামায়াতপন্থি ২০ দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ করা হয়েছে। আত্মীয়করণ করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। তারা বলেছেন, সারাদেশে ৩০ হাজার কওমি মাদ্রাসা থাকলেও মাত্র তিন ব্যক্তি কমিটির অর্ধেক অংশ নিয়ে নিয়েছেন। তা হলে অন্যদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ কোথায়?

জানা যায়, হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটির নায়েবে আমির ওবায়দুল্লাহ ফারুক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামেরও নায়েবে আমির। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সিলেটে অংশ নেন। জমিয়ত নেতা মুনির আহমদ হেফাজতের অর্থ সম্পাদক। তিনি বিগত নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরাসরি শামীম ওসমানের বিপক্ষে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।জমিয়তের আরেক নেতা শাহীনুর পাশা ধানের শীষ নিয়ে সুনামগঞ্জে নির্বাচনে অংশ নেন।

২০ দলীয় নেতাদের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদেরও হেফাজতে পদ-পদবি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া হাবিবুল্লাহ আজাদী জামায়াতের রুকন বলে দাবি করা হয়েছে। নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মামাতো বোনের স্বামী অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক, এখন হেফাজতে ইসলামের সহকারী আইনবিষয়ক সম্পাদক। আবদুল কাদের বাচ্চু যুবশিবিরের সারাদেশের সভাপতি ছিলেন।

কেবল তারাই নন, আরও ভয়ানক অভিযোগ করে বসেছেন হেফাজতে ইসলামের বিগত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহি। বলেছেন, মীর মোহাম্মদ ইদ্রিস ও মুফতি হারুন ইজহার হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে।

পদ-পদবির কথা উল্লেখ করে আত্মীয়করণের অভিযোগ তুলে মঈনুদ্দিন রুহি বলেন, ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা থেকে সাতজনকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নানুপুর মাদ্রাসা থেকে আপন তিন ভাইকে রাখা হয়েছে। তারা হলেন- সালাহ উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন। এদের মধ্যে কুতুব উদ্দিন হলেন হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর মেয়ের জামাই। তিনি বলেন, বাবুনগরীর রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশে ১৬টি ইসলামী রাজনৈতিক দল আছে। আর হেফাজতে ইসলামে স্থান পেয়েছেন কেবল দুটি দলের নেতারা।

নতুন কমিটি নিয়ে হেফাজতের অনেক দায়িত্বশীল নেতাই প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি। একাধিক নেতা বলেন, এই কমিটি নিয়ে হেফাজতের মূল ঘাঁটি হাটহাজারী মাদ্রাসার অনেকে ভেতরে ভেতরে অসন্তুষ্ট। তাদের প্রত্যাশা ছিল হেফাজতে ইসলামের প্রধান দুই পদ হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু বাবুনগরী তাতে সম্মত হননি। তিনি বলেছেন, ঢাকার নেতাদের তিনি এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেছেন।

তবে নতুন কমিটির নেতারা দাবি করেছেন, হেফাজতে ইসলামে আগে থেকেই ২০ দলীয় নেতারা ছিলেন। এ নিয়ে তখন বেশি কথা হয়নি, এখন কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করছেন। হেফাজতের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর মোহাম্মদ ইদ্রিস আমাদের সময়কে বলেন, মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী যখন ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি ছিলেন, তখনো ২০ দলের নেতা ছিলেন। মঈনুদ্দিন রুহিও ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ না করেই হেফাজতে ছিলেন। এখন এসব নিয়ে কথা বলা অবান্তর।

হরকাতুল জিহাদের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে মীর মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, হরকাতুল জিহাদ এক সময় সবাই করেছেন। আহমদ শফীও করেছেন। এ সংগঠনের নেতারা ঢাকায় প্রকাশ্যে মিছিল করেছেন। প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছেন। নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমরা আর সেটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলাম না। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অতীতে কে কী করেছেন, তা কারও অজানা নয়। বেশি ঘাটাঘাটি করলে অনেক গন্ধ বের হবে, যা কারও জন্য সুখের হবে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com