রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া ॥ বরিশালে রাজনীতির অঙ্গনে জনপ্রিয় এক ‘আলোচিত’ নাম মুজিব অন্তঃ প্রাণ আলহাজ্ব গোলাম ফারুক। এখানকার রাজনীতির আকাশে জ্বল জ্বল করে জ্বলে থাকা ‘তারকা’ এ নেতা স্বল্প সময়ের মধ্যে তার মেধা, মনন, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দিয়ে শুধু বানারীপাড়ায়ই নয় গোটা বরিশালে আওয়ামী রাজনীতির ‘আইকনে’ পরিণত হয়েছেন। তিনি একজন দানশীল ব্যক্তিত্ব, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে সর্বমহলে সুপরিচিত ও সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের অন্যতম দাবীদার ছিলেন। পরে তিনি ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিএনপি প্রার্থী সহ অপর চার প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। ওই নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে গিয়ে বিএনপি প্রার্থী সহ তিন প্রার্থী জামানত হারান। এর পর তিনি ২০১৪ ও ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক বিজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেন।আর তার এ বিজযের পথ প্রস্বস্ত ও কুসুমার্স্তিণ করেছে তার মানবিক গুনাবলী, অমায়িক ব্যবহার, সম্মোহনী শক্তি, দানশীলতা ও উদার মন-মানসিকতা ও দরদী মন। “মানুষ মানুষের জন্য” প্রখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার চিরায়ত এ গানের বাস্তবরুপ খুঁজে পাওযা যায তার মধ্যে। তাইতো রাজনীতির কন্টকার্কিণ-পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিয়ে তিনি আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসার প্রতিকে পরিণত হয়েছেন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার টিকিট দেওয়া হলে তিনি এ আসনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন বলে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ সচেতন মহলের ধারণা। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা গোলাম ফারুককে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি যেমন বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবেন ঠিক তেমনী অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও তাকে বিজয়ী হতে হলে গোলাম ফারুককে প্রয়োজন হবে। কারণ জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনী রাজনৈতিক পলিসি মেকিংয়ে তার বিকল্প নেই। জনসম্পৃক্ত কর্মী বান্ধব এ নেতা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই বানারীপাড়ার বিশারকান্দি শেরেবাংলা ডিগ্রী কলেজে মায়ের নামে ছাত্রী নিবাস, বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজে বাবার নামে একাডেমিক ভবন নির্মাণ, বাইশারী সৈয়দ বজলূল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু, উপজেলায় ৬ শতাধিক মসজিদ ও শতাধিক মন্দিরের উন্নয়নে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়, শত শত দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফরম ফিলাপ সহ শিক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করেন তিনি। অসংখ্য দরিদ্র রোগীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শৈশবকাল থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার মানসিকতা ও অভিপ্রায় তার শিশু মনকে আন্দোলিত করতো।ছাত্রজীবনে নিজের পকেটের টাকা সহপাঠি কিংবা দরিদ্র ব্যক্তিকে দিয়ে চাখার সরকারী ফজলুল হক কলেজ থেকে প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বাড়ি ফেরার তার নজির রয়েছে। মানবদরদী গোলাম ফারুক পরপর তিন বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সবার হৃদয়ের ‘মধ্যমনি’ হয়ে উঠেছেন।শুধু এলাকায় নয় তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘মহাত্মা গান্ধি পিস এ্যাওয়ার্ড’ সহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির দিকনির্দেশনায় জাতীয়,পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গোলাম ফারুকের পলিসি মেকিং ও কৌশল দলীয় নেতা-কর্মীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মেয়র ও ইউপি নির্বাচনে তিনি বানারীপাড়ার ৮ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মূখ্য ভূমিকা পালণ করেন। তিনি শুধু বানারীপাড়ায় নয় বরিশালের অন্য উপজেলায়ও পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক চিফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দলের বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দলীয় প্রার্থী মইদুল ইসলামকে বিজয়ী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে গিয়ে তাকে বানারীপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো। পরে চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। উন্নয়ন ও রাজনীতির পলিসি মেকার গোলাম ফারুক’র মেধা, মনন, শৈলী; প্রজ্ঞা, সততা ও কতর্ব্য নিষ্ঠার কারনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সর্বজন শ্রদ্ধেয় জিল্লুর রহমান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রভাবশালী বহু মন্ত্রী, নেতা ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তিনি স্নেহ ও ভালোবাসায় সিক্ত হন। জীবদ্দশায় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাকে আপন ছেলের মত জানতেন। মন্ত্রী পদ মর্যাদার পার্বত্য শান্তি চূক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি, স্থাণীয় সরকার পলÍী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির স্নেহের পরশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনারবাংলা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প- ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে গোলাম ফারুক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মী বান্ধব নেতা গোলাম ফারুককে এলাকাবাসী রাজনীতির অঙ্গনে আরও শীর্ষপদে দেখতে চান।
Leave a Reply