শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন
নিয়ম ভেঙে ১৪ ব্যাংক ঋণ বিতরণ করছে

নিয়ম ভেঙে ১৪ ব্যাংক ঋণ বিতরণ করছে

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা না মেনেই অল্পসুদে আমানত সংগ্রহ করে বেশি সুদে ঋণ দিচ্ছে ১৪ বেসরকারি ব্যাংক। এসব ব্যাংক আমানত ও ঋণের স্প্রেড (সুদহারের পার্থক্য) পরিপালন করছে না। ৫৯ ব্যাংকের তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অক্টোবরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে, যা গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সব ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের স্প্রেড ৪ শতাংশের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর শেষে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১৪ ব্যাংক এ হার মানছে না। এর মধ্যে দেশি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে ৭টি এবং বিদেশি ৭টি। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের এ হার ২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। বিশেষায়িত তিন ব্যাংকের ব্যবধান ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ৯টি বিদেশি ব্যাংকের এ হার ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

ইচ্ছামতো ঋণের সুদ আরোপ বন্ধ করতে স্প্রেড নীতিমালা জারি করা হয়। তা না হলে এক ধরনের অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয় ব্যাংক খাতে। এতে কিছুটা অস্থিরতাও তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানত ও ঋণের মধ্যে সুদহার ব্যবধান ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে ২০১৫ সালের

২৮ ডিসেম্বর একটি সার্কুলার জারি করে। সার্কুলার মতে, ভোক্তাঋণ ও ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্যান্য খাতে স্প্রেড নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

২০১৮ সালের ৩০ মে এ ব্যবধান ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ যে সুদহারে আমানত সংগ্রহ করবে, তার সঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ কোনো ব্যাংক ১০ শতাংশ সুদে আমানত নিলে ব্যাংকটির ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ। তবে ভোক্তা ও সব ধরনের কার্ডের সুদহারের বেলায় এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না বলে জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ (অক্টোবর) তথ্য অনুযায়ী, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ঋণ-আমানত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) হচ্ছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৪ দশমিক ১১ শতাংশ, সীমান্ত ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩২ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, কমিউনিটি ব্যাংকের ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এ হার ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ, সিটি ব্যাংক এনএ’র ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, উরি ব্যাংকের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ, দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেডের ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক আল-ফালাহ লিমিটেডের ব্যবধান ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইন সবার জন্যই প্রযোজ্য। এ সময়ে এসেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা না মানাটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এখন অনুরোধের সময় চলে গেছে, সরাসরি অ্যাকশনে যেতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com