দেশের মানুষ ভয়াবহ একটা দুঃসময় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেশের গণতন্ত্রহীন অবস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখন অন্যায়ভাবে কারাগারে রয়েছেন, বন্দি হয়ে রয়েছেন। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে আছে। আমাদের শত শত কর্মী, আমাদের ভাই, আমাদের সহযোগী তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদেরকে গুম করা হয়েছে।“
“অনেক পরিবার আজকে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছে। শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে, দুঃসময়ের মধ্যে কাটাচ্ছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘একদিকে যেমন বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। অন্যদিকে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দি্য়ে, আমাদেরকে গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
‘‘ মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশ। আমাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই দেশ, আমাদের নেতার(তারেক রহমান) স্বপ্নের দেশ, আমাদের সমগ্র মানুষগুলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যে চেতনা সেই চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে, এই রাষ্ট্রকে নির্মাণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘ আমি অত্যন্ত আশাবাদী। আমরা পারব। আমি বিশ্বাস করি, উই শ্যাল ওভারকাম। আমাদের অনেক বয়স হয়ে গেছে-আমরা কিছুদিন পরে এই পৃথিবীতে থাকবো না। কিন্তু তোমরা যারা আজকে প্রজেক্ট নিয়ে এসেছো তোমাদের সংখ্যা কম নয়। আমি আশান্বিত হয়েছি তোমাদের এই কম বয়সে কী চমৎকার রাষ্ট্র নিয়ে কত গভীরে চিন্তা করছে।”
‘‘এরা আমাদের ছেলে, এরা আমাদের ভবিষ্যত। তারা আমাদেরকে একটা সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দেবে।”
তিনি বলেন, ‘‘ চর্তুদিকে অনেকে অন্ধকার দেখেন, ফ্রাসট্রেশন দেখেন। আমি তাতে বিশ্বাস করি না।”
‘‘আমি বিশ্বাস করি আমরা এই অন্ধকার থেকে আলোর পথে পৌঁছাতে পারবো। আমি বিশ্বাস করি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যেসব মহৎ কাজ করেছে, যে মহৎ কাজে হাত দিয়েছে-তারা দেশ ও জাতিকে পথ দেখাবে।”
যুব সমাজকে রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে আমরা যতই বলি না কেনো টেকসই উন্নয়ন বা লাটসই প্রযুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। আমার যেটা মনে হয়, আজকে বাংলাদেশের বড় সমস্যা যারা তরুণ, যারা যুবক তাদের মধ্যে রাজনৈতিক যে সচেতনতা এটা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।”
‘‘আমি মনে করি যে, এটার একটা বেশি রকমের ক্যাম্পেইন করা দরকার।আমাদের যারা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা –এটা বেশি করে আনা দরকার।”
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘গ’ বিভাগের এই গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠান হয়। এতে মাসরুর চৌধুরী, রকীন হাসান প্রত্যায়, নাহিদ চৌধুরী, সাবাব তাসরিফ জামান, আবদুল মান্নান, সোহাগ সরকার ও সুরাইয়া আখতার মৌসুমী, জান্নাতুল নওরীন উর্মি প্রমুখ প্রতিযোগীরা তাদের প্রণীত মডেল প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বিচারক প্যানেলের ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, ড. হাসানুজ্জামান, ড. ফজলুল হক, ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, ড. রেজাউল করীম প্রতিযোগীদের কাছে তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
এই ভার্চুয়াল মেলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবায়দা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তফা আজিজ সুমন ও কানিতা‘র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
Leave a Reply