দখিনের খবর ডেক্স ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি পাঁচ দিন পিছিয়ে গেছে তার আইনজীবীদের আবেদনে। সেইসঙ্গে এ মামলায় দ-িত দুই আসামি সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদের করা আপিল এবং সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের শুনানিও পিছিয়ে গেছে। শুনানি পেছাতে খালেদার আইনজীবীদের আবেদন শুনে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ আগামী রোববার (৮ জুলাই) বেলা ২টায় শুনানির নতুন সময় রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ মামলার আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার যে আদেশ দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার জন্য গত ২৫ জুন আবেদন করেন খালেদা জিয়া আইনজীবীরা। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত হাই কোর্টে মামলার আপিল শুনানি মুলতবি চেয়ে গত সেমাবার আরেকটি আবেদন করেন তারা। সেই আবেদনের নিষ্পত্তি করেই হাই কোর্ট গতকাল মঙ্গলবার আপিল শুনানির নতুন দিন ঠিক করে দিল। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে এ জে মোহাম্মদ আলী ছিলেন আদালতে। এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানিতে বলেন, আমাদের একটি রিজনেবল সময় দিন। আজকেই আমরা রিভিউ নিয়ে চেম্বার আদালতে যেতে পারি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতায় বলা হয়, আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। হাই কোর্টের জন্য এ নির্দেশ মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর আদালত খালেদার আবেদন নিষ্পত্তি করে নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়। গত ১ জুলাই খালেদা ও অপর দুই আসামির আপিলসহ দুদকের আবেদনের শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করে দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিদেশ থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এ মামলার রায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয় রায়ে। রায়ে বলা হয়, সরকারি এতিম তহবিলের টাকা এতিমদের কল্যাণে ব্যয় না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়াসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন। ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। আর তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী আর জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
Leave a Reply