শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন
মুজিব ভাস্কর্য : ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে রাজি সরকার

মুজিব ভাস্কর্য : ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে রাজি সরকার

ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকার ইসলামপন্থীদের আলোচনার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উভয়পক্ষের সূত্রগুলো জানিয়েছে, আলোচনার প্রক্রিয়ায় এখন আগামী রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ইসলামপন্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হতে পারে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। এখন ইসলামপন্থী কয়েকটি দল এবং হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে বৈঠক চেয়ে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

তবে ইসলামপন্থীরা ভাস্কর্য বিরোধী অবস্থানেই অনড় থাকার কথা বলছে।

ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় এলাকায় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল এবং হেফাজতে ইসলাম।

এরই মাঝে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সেই প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

ইস্যুটি নিয়ে একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও সরকার এবং ইসলামপন্থীদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ বা কথাবার্তা চলছে।

এখন ইসলামপন্থীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারও তাতে রাজি হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

“টাইম টু টাইম অনেকের সাথেই কথা হচ্ছে। আমার সাথে, আমাদের সচিব মহোদয়ের সাথে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ও প্রধানমন্ত্রীর যে সেলগুলো আছে,তারা সবাইতো কাজ করছে।”

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরো বলেছেন, “তারা (ইসলামপন্থী দলগুলো এবং হেফাজতে ইসলাম) একটা আবেদন করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তারা বলেছে যে আমরা ১০ জন বা ১১জন ওলামা আপনার সাথে দেখা করবো। আমরা এখন এটা প্রসেস করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো।তাতে দেখার সুযোগ হলে দেখা করবে।”

ইসলামপন্থী দলগুলো এবং হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে আলোচনার বা বৈঠকের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানকে।

তাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তাদের অনানুষ্ঠানিক একটি বৈঠক হতে পারে- এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে।

ইসলামপন্থীদের আলোচনার এই উদ্যোগের সাথে জড়িত এবং ইসলাম বিষয়ক সাময়িকী আল জামিয়ার সহকারি সম্পাদক মো: আশরাফ উল্লাহ বলেছেন, ধর্মে ভাস্কর্য নির্মাণ জায়েজ নয়- সেই অবস্থানই তারা স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় তুলে ধরবেন।

এছাড়া ইসলামপন্থী একটি দলের নেতা বলেছেন, সরকার চাইলে ভাস্কর্য নির্মাণ করতেই পারে। কিন্তু তারা তাদের অবস্থান এবং ধর্মীয় বিষয় তুলে ধরেছেন। এখন তা বিবেচনায় নেয়া না নেয়া সরকারের বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

তারা তাদের অবস্থানেই যদি অনড় থাকেন তাহলে আলোচনায় কোন লাভ হবে কিনা সেই প্রশ্নে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আব্দুর রব ইউসুফী বলেছেন, আলোচনা বসলে একটা উপায় বের হতে পারে।

“আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিছি যে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করতে চাই এবং শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক কোন সমাধান বের হয়ে আসতে পারে। এখন বল সরকারের কোটে।”

“আলোচনায় বিকল্প কোন পথ বের হতে পারে। এজন্যইতো আলোচনা। অনেক জটিল জটিল বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়ে যায়” বলে তিনি মন্তব্য করেন।

হেফাজত নেতা আব্দুর রব ইউসুফী আরো বলেন, “বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় ব্যাপারে একগুঁয়েমি করেন না। এটা আমাদের জানা এবং আমাদের বিশ্বাস। সেকারণে আলোচনায় বসলে একটা সমাধান বের হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

তবে সরকার ধোলাইপাড় এলাকায় মুজিব ভাস্কর্য নির্মাণ করবেই। এমন অবস্থান তুলে ধরে আসছে সরকার।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত কয়েকদিনের অনানুষ্ঠানিক আলোচনাগুলোতেই সমাধানের কিছু প্রস্তাব এসেছে।

“আমার কথা হলো, ভাস্কর্যটাই হবে। আমি বলছি, ওনারা অনেকে বলেছেন যে, ওখানে যদি বঙ্গবন্ধুর নামে একটা গেট করেন ভাল হয়। সেটা ভাল কথা। ওই জায়গায় গেট করলাম। আর ভাস্কর্য ওখান থেকে ১০ মিটার আগায় বা পিছায় দিলাম। হয়ে গেলো। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। এটা নিয়ে টেনশন করার কোন কারণ নাই” বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ।

তবে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো রাজনৈতিক দিক থেকেও প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।

সূত্র : বিবিসি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com