নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এবং অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। প্রেসিডিয়ামের এই দুই শূন্যপদ এখনও পূরণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য পদ ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের এই শূন্য পদ দুটি খুব শিগগিরই পূরণ করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন- ‘প্রেসিডিয়ামের শূন্য পদ পূরণ আওয়ামী লীগ সভাপতির ক্ষমতাধীন বিষয়। তিনি যাকে মনে করবেন, তাকেই প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কাউন্সিল আওয়ামী লীগ সভাপতিকে এই ক্ষমতা দিয়েছে।’ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে এলাকাভিত্তিক ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করা হয়। যে দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্য মারা গেছেন তাদের একজন রাজশাহী বিভাগের অন্যজন ঢাকা বিভাগের। কাজেই শূন্য দুটি প্রেসিডিয়াম পদে ওই দুই বিভাগের নেতাদেরই প্রাধান্য পাওয়ার কথা। তবে, ওই দুই বিভাগের বাইরে থেকেও কেউ প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদের জন্য ৬ জনের নাম ঘুরে ফিরে আসছে। এদের মধ্যে রয়েছেন :
১. আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ : আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সদস্য। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং নীতিনির্ধারক নেতা তিনি। প্রধামন্ত্রী নিকট আত্মীয়ও তিনি। এছাড়া বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ।
২. খায়রুজ্জামান লিটন : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। জাতীয় চার নেতার সন্তান। এই প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে জাতীয় চার নেতার প্রতিনিধি নেই। তাই এবার তার প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা প্রবল মনে করা হচ্ছে।
৩. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এমএমএ’র সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনে তার ভূমিকার জন্য সমালোচিত হন।
৪. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া : মায়া ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। কিন্তু নানা বিতর্কের কারণে বিগত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। দলের ত্যাগী নেতা। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়ে না। তাই আলোচনায় থাকলেও প্রেসিডিয়ামে তার সম্ভাবনা কমই।
৫. টিপু মুন্সী : বাণিজ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগে কোষাধ্যক্ষ ছিলেন দীর্ঘদিন। উত্তরাঞ্চলে জনপ্রিয় নেতা। দীর্ঘদিন সম্পাদকম-ীতে থাকার কারণে প্রেসিডিয়ামে তার নাম আলোচনায়।
৬. শিরিন শারমিন চৌধুরী : স্পীকার। রংপুর থেকে নির্বাচিত এমপি। আওয়ামী লীগ সভাপতির সব থেকে ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্তদের অন্যতম। এজন্যই তার নাম আলোচনায়।’
Leave a Reply