স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা জানতে চেয়ে উপাচার্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম প্রসঙ্গ’ শিরোনামের ওই চিঠি গতকাল রোববার উপাচার্যের কাছে পাঠান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ।
চিঠিতে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫ শিথিল করে পরিবর্তিত নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী উপাচার্য এম আবদুস সোবহান তার মেয়ে সানজানা সোবহানকে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে এবং জামাতা এ টি এম শাহেদ পারভেজকে ইনস্টিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এ প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন। উপাচার্যের এমন স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের কারণে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং শিক্ষা ও গবেষণার মান নিম্নগামী করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ওই নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্য এম আবদুস সোবহানকে প্রদান করার জন্য বরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর তদন্ত করে ২৫টি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। সেই তদন্তের প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুদকে জমা দিয়েছে ইউজিসি। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply