মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদী থানায় ৩২৪ ধারা কে ৩২৬ ধারা করার লক্ষে অন্য লোকদেরকে তদন্ত প্রতিবেদনে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। যাদের অর্ন্তভূক্ত করা হয় তাদের নাম মামলা স্বাক্ষীতে লিপিবদ্ধ নাই। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ০৯/০৭/২০২০ ইং তারিখে মুলাদী থানার অর্ন্তগত কাজিরচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরকমিশনার গ্রামের মৃত কদম আলী বেপারীর পুত্র মোঃ শাহজাহান বেপারী বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মুলাদী থানার মামলা নং ৪/৯৭, উক্ত মামলায় জখমী দেখানো হয়েছে বাদী সহ আরও ২ জন। মামলার বাদী শাহজাহান বেপারীর ঘনিষ্ট কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মালেক মেম্বার এর ছত্র ছায়ায় তদন্ত প্রতিবেদনে দেখানো রিপন ও মন্টু সিকদার কে জখমী দেখিয়ে মামলাটি ৩২৪ ধারাকে ৩২৬ ধারা করা হয়েছে। মুলত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মামলা বাদী শাহজাহান বেপারীর জোড়পূর্বক ফোরকান ফকির এর জমি জবর দখল করতে মামলার বাদীর আত্ময়স্বজন সহ বাহিরের লোকজন দিয়ে পুকুরের মাছ, কলা ধরা অবস্থায় কলা গাছ কোপিয়ে এবং মাছ ধরার জন্য পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরতে থাকে, উক্ত ঘটনাস্থলে সাংবাদিক গেলে শাহজাহান বেপারীর পুত্র মনির প্রকাশ্যে সাংবাদিককে হুশিয়ারী দিয়ে বলে যে যদি উক্ত ঘটনা ভিডিও ধারন করি তা হলে মোবাইল সহ জীবনের তরে শেষ করে দিবে বলে মচিরে গুড়া সাংবাদিক উপর ছিটিয়ে দেয়। ফোরকান ফকির বাড়ী না থাকায় তাহার স্ত্রী সহ অন্যন্যা মহিলা তাদের জমি রক্ষার জন্য বাধা দিলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় শাহজাহান বেপারী ও মালেক মেম্বার গংরা। বিবাদী জান্নাতুল ফেরদৌসীর দায়েরকৃত অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ১নং আসামী বিএনপি নেতা মালেক মেম্বার বাদ দিয়ে উক্ত অভিযোগের বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসী জমখী অবস্থায় মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি থাকা কালীন সময়ে ১নং আসামীকে বাদ দেয় মামলার তদন্ত প্রতিবেতন দাখিল করে মুলাদী থানা এস আই। সব ঘটনা বাদ দিয়ে যদি দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদী থানার এস আই ৩২৪ ধারা মামলা টিকে ৩২৬ ধারা করার জন্য বাহিরের আহত লোকজনের দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বিষয়ে মামলার বিবাদী জান্নাতুল ফেরদৌসী উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন সহ পুনরায় তদন্ত করার অনুরোধ জানান।
Leave a Reply